কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর

হেফাজতের হরতালকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জ শহরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মাশরুকুর রাহমান খালেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রোববার রাতেই তাদের আটক করা হয়। হেফাজতের হামলা-ভাঙচুর ও তাণ্ডবের ঘটনায় সন্ত্রাস দমন ও নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জেলা পুলিশ সুপার মাশরুকুর রাহমান খালেদ জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, রোববার হেফাজতের হরতালকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় হেফাজতের নেতাকর্মীরা কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে।

এ সময় তারা বঙ্গবন্ধুর ছবিতেও অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বিপুল পরিমাণ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। পরে কিশোরগঞ্জ শহরের গৌরাঙ্গবাজার এলাকা থেকে পুরান থানা ইসলামিয়া মার্কেট পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সংঘর্ষের ঘটনায় কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বকুল, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এনায়েত করিম অমি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও পথচারী আহত হন।

এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিকসহ ১২ পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবল আহত হয়েছেন।

এসকে রাসেল/এমএসআর