জাহাজে বিস্ফোরণ : নিখোঁজ আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিখোঁজ আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৩ জুলাই) সকালে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে সুগন্ধা নদীতে অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরণে ডুবে যাওয়া জাহাজের মাস্টার ব্রিজের ভেতর থেকে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে।
বরিশাল কোস্টগার্ডের অপারেশন অফিসার মোহাম্মদ শাফায়েত মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার রুহুল আমিন খান (৪৭), সুপারভাইজার মাসুদুল আলম বেল্লাল (৫৫) ও জাহাজের চালক সরোয়ার হোসেন (৪৫)।
এর আগে বিস্ফোরণে নিখোঁজ চারজনের মধ্যে গতকাল রোববার (২ জুলাই) জাহাজের পেছনের অংশের ইঞ্জিন রুম থেকে গ্রিজার আব্দুস সালাম হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে আর কেউ নিখোঁজ নেই। মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
জানা গেছে, বরিশাল থেকে আসা উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভিক সকালে সাগর নন্দিনী-২ জাহাজের মাস্টার ব্রিজের ডুবে যাওয়া অংশ পানির নিচ থেকে ওপরে টেনে আনে। এ সময় ব্রিজের কেবিনের অংশে নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়। এর আগে কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল আনুমানিক ৩০ ফুট পানির নিচে জাহাজের পেছনের মাস্টার ব্রিজের ডুবে যাওয়া অংশ শনাক্ত করে।
এদিকে জাহাজে বিস্ফোরণে দগ্ধ চার শ্রমিক শাকিল (৩৫), ফরিদুল আলম (৫০), ইকবাল হোসেন (২৭) ও মাইনুল ইসলাম হৃদয়(২৯) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন।
গত শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে বিকট শব্দে সাগর নন্দিনী-২ জাহাজে বিস্ফোরণ হয়। পরে পুরো জাহাজে আগুন লেগে যায়। এতে চারজন শ্রমিক দগ্ধ হন এবং চারজন শ্রমিক নিখোঁজ হন। পরে দুইদিন অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরএআর