দুই নেতা হত্যা : প্রধান আসামি কাশেম জিহাদীর ভাগিনা গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরে আলোচিত যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলায় মুরাদ হোসেন নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি এজাহারনামীয় আসামি নন। মুরাদ মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদীর ভাগিনা বলে জানা গেছে।
শনিবার (১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের করপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুরাদ রামগঞ্জ উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নোমান-রাকিব হত্যা মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে মুরাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে আমরা কাজ করছি।
এ মামলার প্রধান আসামি কাশেম জিহাদী এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তার অবস্থান কোথায় তাও জানাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গত ১৭ মে তাকে দলীয় পদ চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
গত ২৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দারবাজার এলাকায় জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন রাতে নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে এ মামলার এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ১৮ জনই কাশেম জিহাদীর বাহিনীর সদস্য। এর মধ্যে হত্যার ঘটনায় রামগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান ফয়সাল, আসামি কদু আলমগীর ও লিটন ওরফে চান মিয়া জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় পৃথক পৃথক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সম্প্রতি মামলার ১৩ নম্বর আসামি সজীব পাটওয়ারী উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এসএসএইচ/