ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ : তদন্ত করবে বিশেষজ্ঞ টিম
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরজুড়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সময় পুলিশ নীরব ছিল না, সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। বাইরে থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টায় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিআইজি বলেন, এখানে ২০টির বেশি ঘটনাস্থল রয়েছে। সবগুলো ঘটনাতেই মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। সিআইডি এবং পিবিআইর বিশেষজ্ঞ টিম ডাকা হয়েছে। তারা প্রতিটি ঘটনাস্থল ঘুরে আলামত সংগ্রহ করবে। প্রতিটি ঘটনার মামলা বিশেষজ্ঞ টিম তদন্ত করবে।
বিজ্ঞাপন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন পরিস্থিতি স্বভাবিক আছে। যানবাহন চলাচল করছে। দোকানপাট খুলেছে, জনজীবন স্বাভাবিক।
এ সময় ডিআইজির সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোববার (২৮ মার্চ) হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে বেলা ১১টার পর থেকে হরতালকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, পৌর মিলনায়তন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের কার্যালয় ও বাড়ি এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এ ছাড়া হরতালকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিরাসারস্থ বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের কার্যালয় এবং জেলা পুলিশ লাইনে হামলার চেষ্টা চালায়। দুপুর ১২টার দিকে হেফাজত কর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
এ সময় প্রেস ক্লাব ভবনের সামনে ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির ওপর হামলা চালায় হেফাজতকর্মীরা। এতে সাংবাদিক জামির মাথায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়। এ ছাড়া সকালে শহরের পৈরতলা এলাকায় হরতালের ছবি তুলতে গেলে আমাদের নতুন সময় পত্রিকার প্রতিনিধি আবুল হাসনাত রাফিকেও মারধর করে হরতালকারীরা।
আজিজুল সঞ্চয়/এসপি