কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়ার ঝাউবাগান থেকে এবাদত উল্লাহ নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত রাকিব নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (২৫ জুন) চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ বলছে- প্রেমিকাকে ভাগিয়ে নেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এবাদত উল্লাাহকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। 

নিহত এবাদত উল্লাহ সমিতিপাড়ার নতুনপাড়া এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী নুরুল আলমের ছেলে। সে পৌর প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। 

সোমবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।  

তিনি জানান, নান্নুর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এক কিশোরীর। নান্নু খারাপ ছেলে, ইয়াবা-গাঁজাসহ মাদক সেবন করে- বলে ভুল বুঝিয়ে প্রেমিকা এবং নান্নুর মধ্যে ফাটল ধরায় এবাদত উল্লাহ। পরে ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবাদত উল্লাহ। 

এসব জানার পর বন্ধু নান্নু, সালাউদ্দিন, রাকিব মিলে এবাদত উল্লাহকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা বৃহস্পতিবার রাতে ফোন করে পশ্চিম কুতুবদিয়া পাড়ার সমুদ্রের পাড়ে ঝাউবাগানে আসতে বলে এবাদত উল্লাহকে। তার পকেট থেকে মোবাইল বের করে এবাদত উল্লাহর প্রেমের বিভিন্ন এসএমএস, কল রেকর্ড, নান্নুর প্রেমিকা এবং এবাদত উল্লাহর একসঙ্গে তোলা ছবি দেখতে পায় নান্নু। তখন নান্নু ক্ষুব্ধ এবং উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এই প্রেম-ভালোবাসাই কাল হলো এবাদত উল্লাহর জীবনে। প্রেমকে কেন্দ্র করে এবাদত উল্লাহকে তিনজন মিলে নৃশংসভাবে হত্যা করে। প্রথমে তিনজনে রশি পেঁচিয়ে এবাদুল্লাহকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে পরে ১১টি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। 

পুলিশ সুপার জানান, পরদিন শুক্রবার ঝাউবাগানের বালুতে পড়ে থাকা এবাদত উল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দুই দিন পর এ ঘটনায় জড়িত রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সাইদুল ফরহাদ/আরএআর