ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় মা, দুই মেয়ে, চার নাতি-নাতনিসহ সাতজনের মরদেহ আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহগুলো স্বজনদের হাতে তুলে দেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল ফরুক রানা।

নিহত কমলার দেবর জাকির খান কমলা, হাসিব, আরিফ ও হাফসার মরদেহ বুঝে নেন। নিহত বিউটির ননদের জামাতা মো. আবুল হাসান বিউটি ও তার ছেলে মেহেদীর মরদেহ বুঝে নেন। নিহত তাসলিমার মরদেহ বুঝে নেন তার চাচা শ্বশুর আব্দুল হামিদ শেখ। 

নিহত কমলার দেবর জাকির খান জানান, মরদেহগুলো বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমড়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নিহত আরিফ-হাসিব-হাফসার ফুফু শামীমা ইয়াসমিন মরদেহ নিতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসেছিলেন। তিনি মুঠোফোনে নিহত আরিফের আগের ছবি দেখে কান্না করছিলেন। তবে গলা থেকে কোনো স্বর বের হচ্ছিল না। সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের তেমন উত্তরও তিনি দিতে পারেননি। এছাড়া হাসপাতাল চত্বরে আর কোনো স্বজনের দেখা মেলেনি।

জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এ ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, বিআরটিএর প্রতিনিধি, হাইওয়ে পুলিশের প্রতিনিধি এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী।

জহির হোসেন/এমএএস