জামালপুরের মেলান্দহে পাহাড়ি ঢাল আর টানা বৃষ্টিতে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর তীরবর্তী জমিতে পানি ঢুকছে। এতে বিপাকে পড়েছেন পাট চাষিরা। বন্যার আশঙ্কায় সময়ের আগেই তারা পাট কাটতে শুরু করেছেন।

সরেজমিনে উপজেলার ঘোষেরপাড়া, ঝাউগড়া, নাংলা ইউনিয়নে দেখা যায় নদীর তীরবর্তী জমিতে পানি ঢুকছে। তাই পাট কাটার সময় হওয়ার আগেই পাট কাটছেন কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রায় এক সপ্তাহ যাবত নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে নদীর পানি পাটখেতের ভেতরে ঢুকে পড়ছে। তাই পাটের আঁশ ভালো করে না হতেই পাট কাটতে হচ্ছে। ২০-২৫ দিন পর পাটের আঁশ পরিপক্ব হত।

ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বেলতৈল এলাকার কৃষক দুলাল মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখনও পাট কাটার বয়স হয়নি। কিন্তু পানি বাড়তে শুরু করায় পাট কাটা শুরু করেছি। পরে পানি আরও বেশি হলে তখন কিছুই পাওয়া যাবে না।

ওই এলাকার হাফিজুর নামের আরেক কৃষক ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাটের ২ মাস বয়স হয়েছে। এখনও পাটের আঁশ পরিপক্ব হয়নি। ২০-২৫ দিন পর আঁশ পরিপক্ব হত। এখন আমাদের পাট চাষে লাভ হবে না।

ঝাউগড়া ইউনিয়নের শেখসাদী এলাকার কৃষক আলম মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ৩৫ শতাংশ (এক বিঘা) জমিতে পাট চাষ করেছি। আমার সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। পানি আসায় আগেই পাট কাটতে হলো। যদি ২০ দিন পরও পানি আসত তাহলে কিছুটা পাটের আঁশ পরিপক্ব হত।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭০০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। উপজেলার ১ হাজার ৪০০ কৃষকের মাঝে সার ও পাটের বীজ বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েক দিন হলো নদীর পানি ঢুকছে। পাট কাটার বিষয়ে জানা নেই।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টের পানি পরিমাপক আব্দুল মান্নান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটারের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

এমজেইউ