নিজ গ্রামেও একজন আদর্শ মানুষ হানিফ সংকেত
বরিশাল সদরের রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা বসুরহাট। কাগজপত্রে বসুরহাট লেখা হলেও বৌশেরহাট নামে অধিক পরিচিত। বৌশেরহাট বাজার থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিমে গেলে বড় একটি বাড়ি। গ্রামের মানুষ এটিকে হাওলাদার বাড়ি নামে চেনেন। হাওলাদার বাড়ির সন্তান হানিফ সংকেত।
এই নামের দ্বিতীয় পরিচয় নেই। হানিফ সংকেত নামটাই প্রতিষ্ঠান। এক জীবনে যা দেখিয়েছেন এবং করছেন তা অতুলনীয়। তার মতো বহুমুখী প্রতিভাধর আর কেউ নেই।
বিজ্ঞাপন
বিবিসির জরিপ বলছে, বিশ্বের ৭৫ শতাংশ বাঙালি ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠান দেখেন। এই অনুষ্ঠানের পরিচালক এবং উপস্থাপককে সবাই শ্রদ্ধা করেন এবং ভালোবাসেন।
অবাক করা তথ্য হলো বাড়ি বরিশাল হলেও শৈশবে বেশিদিন থাকার সুযোগ হয়নি। গ্রামে লেখাপড়া করাও হয়নি। লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়েছেন চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ঢাকায়।
বরিশাল শহরে এলে যে কেউ বলে দেবে হানিফ সংকেতের বাড়ির ঠিকানা। বৌশেরহাট গেলে বড় একটি মসজিদ ও এতিমখানা দেখিয়ে স্থানীয়রা বলবে, এসব হানিফ সংকেতের বাবার অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত। নিজ দায়িত্বে হাওলাদার বাড়িতে আপনাকে পৌঁছে দেবে। কারণ হানিফ সংকেতকে নিয়ে গর্বিত এলাকার মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হানিফ সংকেতের বাবা আবদুল হাকিম হাওলাদার পুলিশ বিভাগের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। কর্মজীবনের অধিকাংশ সময় আবদুল হাকিম ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ফেনীতে ছিলেন। আবদুল হাকিমের তিন ছেলে তিন মেয়ে। বড় ছেলে হারুন অর রশিদ একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও লেখক। মেজ ছেলে হাবিবুর রহমান দেশের সুনামখ্যাত লিফট কোম্পানি মান বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। ৬৪ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ছোট ছেলে দেশের বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত। তিন মেয়ের মধ্যে একজন হানিফ সংকেতের বড়; বাকিরা ছোট।
আবদুল হাকিম হাওলাদার পেশার তাগিদে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন জেলা, ভিন্ন পরিবেশ এবং নানা সংস্কৃতির মাঝে ছিলেন। ছুটিতে আবদুল হাকিম হাওলাদার গ্রামের বাড়িতে গেলে পারিবারিক মিলনমেলায় পরিণত হতো। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যেতেন তিনি।
এরই মধ্যে হানিফ সংকেতের মাঝে অসাধারণ প্রতিভা দেখেন আত্মীয়-স্বজনেরা। মজার গল্প, কাহিনি, শিক্ষামূলক ঘটনা, উপস্থিত বক্তৃতা ইত্যাদি বলে সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন।
হানিফ সংকেতের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে ৫৫ বছর বয়সী গণি হাওলাদার বলেন, সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সহজেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার ক্ষমতা রয়েছে হানিফ সংকেতের। তার কাজকর্ম, দৃষ্টিভঙ্গি ছোটবেলা থেকেই ভিন্ন। আমরা তখন থেকেই বুঝতাম, একদিন বিখ্যাত হবেন হানিফ সংকেত।
গণি হাওলাদার আরও বলেন, হানিফ সংকেত আমাদের গর্ব এবং বংশের বাতি। হানিফ সংকেতের বাবা আবদুল হাকিম হাওলাদার ছিলেন সৎ ও পরোপকারী। পুলিশ বিভাগে চাকরি করে হয়তো অবৈধভাবে লাভবান হতে পারতেন। কিন্তু বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করিয়ে মানুষ করেছেন। তবু অসততা তাকে স্পর্শ করেনি। আমার দেখা সেরা সৎ মানুষ ছিলেন তিনি।
হানিফ সংকেতের ভাই হাবিবুর রহমানের বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকেন বৌশেরহাট আল মদিনা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান বলেন, ছোটবেলায় মোবাইলে ইত্যাদি দেখেছি। অনেক ভালো লেগেছে। ইমামতির কাজের সুবাদে হাওলাদার বাড়িতে থাকতে এসে জানলাম; ইত্যাদির বিখ্যাত মানুষটির বাড়ি এটি। হাওলাদার বাড়ির সব মানুষ ভালো। আমি মুগ্ধ তাদের আচরণে। অত্যন্ত উঁচু মানসিকতার হলেই এমন ভালো মানুষ হওয়া যায়। ভালো মানুষকে আল্লাহ সম্মানিত করেন।
প্রকৌশল শাস্ত্রে লেখাপড়া শেষ করে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন হানিফ সংকেত। পরে ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী হিসেবে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। সংস্কৃতি চর্চার সূত্র ধরে পরিচয় হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রখ্যাত উপস্থাপক ও সাংবাদিক ফজলে লোহানীর সঙ্গে। লোহানীর হাত ধরেই হানিফ সংকেতকে পায় বিনোদন জগত। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৫ সাল প্রচারিত ফজলে লোহানীর ‘যদি কিছু মনে না করেন’ জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন হানিফ সংকেত। ফজলে লোহানীর জীবদ্দশায় কর্তৃপক্ষ তাকে একক অনুষ্ঠান করতে অনুরোধ করলেও সায় দেননি হানিফ সংকেত।
১৯৮৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিকভাবে মারা যান ফজলে লোহানী। এরপর বন্ধ হয়ে যায় ‘যদি কিছু মনে না করেন’ অনুষ্ঠান। এরপর হানিফ সংকেত ‘ঝলক’ ও ‘কথার কথা’ নামে দুটি অনুষ্ঠান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে হানিফ সংকেতের রচনা, উপস্থাপনা ও পরিচালনায় নির্মাণ হয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি। বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারের শুরু থেকে সমাজের নানা দিক, অসংগতি তুলে ধরার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পায় ইত্যাদি।
‘হানিফ সংকেতের রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও অভিনব প্রতিভা’ উল্লেখ করে আর এক চাচাতো ভাই শাহজাহান হাওলাদার বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমরা বুঝতাম; হানিফ সাধারণ কেউ নন। তার কথাবার্তা, চালচলন ছিল অন্যরকম। হানিফ আমার তিন বছরের ছোট হলেও আমি তার খেলার সাথি ছিলাম।
আবদুল হাকিম চাচা ছুটিতে যখন বাড়িতে আসতেন; তখন আমরা একসঙ্গে খেলাধুলা করতাম। হাকিম চাচার সঙ্গে দেশের সব জায়গায় ঘুরেছে হানিফ। সে কারণে দেশের সব অঞ্চলের সংস্কৃতি ও ভাষা জানে এবং শিকড়ের প্রতি তার টান বেশি।
‘হানিফ সংকেতের রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও অভিনব প্রতিভা’ উল্লেখ করে আর এক চাচাতো ভাই শাহজাহান হাওলাদার বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমরা বুঝতাম; হানিফ সাধারণ কেউ নন। তার কথাবার্তা, চালচলন ছিল অন্যরকম। হানিফ আমার তিন বছরের ছোট হলেও আমি তার খেলার সাথি ছিলাম।
আবদুল হাকিম চাচা ছুটিতে যখন বাড়িতে আসতেন; তখন আমরা একসঙ্গে খেলাধুলা করতাম। হাকিম চাচার সঙ্গে দেশের সব জায়গায় ঘুরেছে হানিফ। সে কারণে দেশের সব অঞ্চলের সংস্কৃতি ও ভাষা জানে এবং শিকড়ের প্রতি তার টান বেশি।
শাহজাহান হাওলাদার আরও বলেন, ছোটবেলায় হানিফ যেমন ছিল এখনো তেমন। বিখ্যাত হলেও সাধারণ মানুষ রয়ে গেছে। প্রতি বছর বাড়িতে আসে। বাড়ির সবার সঙ্গে যোগাযোগ আছে তার। বাড়িতে এলে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না; মানুষের ভিড় জমে। কাজের চাপেও অনেক সময় চলে যায়।
তিনি বলেন, গ্রামে পৈতৃক সূত্রে অনেক জায়গা-জমির মালিক হানিফ। কিন্তু সেসব জমি ভোগ করে না। বাড়িতে আমরা থাকি; আমরাই চাষাবাদ করে ফসল নিই। হানিফ এসবের খোঁজও নেয় না। চাচা আবদুল হাকিমকে বরিশাল আঞ্জুমান-ই-হেমায়েত মুসলিম গোরস্তানে দাফন করা হয়েছে জানিয়ে শাহজাহান হাওলাদার বলেন, এই বংশের মানুষ হিসেবে আমি গর্বিত।
হানিফ সংকেত ঢাকায় বসবাস করেন। তার স্ত্রীর নাম সানজিদা। তাদের ঘরে দুই সন্তান। বড় ছেলে সাদমান রাফিদ ফাগুন ও মেয়ে সিনদিদা হানিফ বর্ণনা।
প্রতি তিন মাসে ইত্যাদির একটি নতুন পর্ব রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর এবং প্রতি মাসের প্রথম রোববার রাত ১০টার পর একটি সংকলিত পর্ব বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়। এছাড়া প্রতি বছর ঈদুল ফিতরের পরদিন রাত ১০টার সংবাদের পর ইত্যাদি প্রচারিত হয়।
ইত্যাদির বিদেশি ছবির বাংলা ডাবিং করতেন হানিফ সংকেত। ইংরেজি ছবির বাংলা ডাবিং তারই উদ্ভাবন। শেকড়ের সন্ধানে ইত্যাদিতে সবসময়ই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচার বিমুখ, জনকল্যাণে নিয়োজিত মানুষদের খুঁজে এনে তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি গত প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ইত্যাদি প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে অচেনা-অজানা বিষয় ও তথ্যভিত্তিক শিক্ষামূলক প্রতিবেদন প্রচার করে আসছে।
এছাড়া বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ্ণ নাট্যাংশতো আছেই। নানা-নাতির জনপ্রিয় পর্ব কিংবা নানি-নাতির পর্ব দিয়ে আলাদা জুটি তৈরি করেছেন।
ইত্যাদিতেই প্রথম শুরু হয় বিদেশি প্রতিবেদন শিরোনামে বিশ্বের বিস্ময়কর বিষয় ও স্থানের ওপর প্রতিবেদন। ‘ইত্যাদি’ই প্রথম আন্তর্জাতিক তারকাদের সাক্ষাৎকার প্রচার করে। যেমন-শাহরুখ খান, মিঠুন চক্রবর্তী, ওয়াসিম আকরাম, সৌরভ গাঙ্গুলী। পরে অন্যরা তা অনুসরণ শুরু করেন। বিদেশি নাগরিকদের দিয়ে তাদের মাতৃভাষার বদলে বাংলা ভাষায় গ্রামের সহজ সরল মানুষের চরিত্রে অভিনয় করিয়ে তুলে ধরা হয় লোকজ সংস্কৃতি ও গ্রামীণ খেলাধুলা।
তিনি একমাত্র উপস্থাপক যিনি কোনো জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে নিয়মিত দর্শকদের গাছ উপহার দিয়েছেন। তার ভাষায় গাছ হলো ‘পরিবেশ বন্ধু’। তিনিই একমাত্র উপস্থাপক যিনি ইত্যাদির পাশাপাশি ‘মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার’ অনুষ্ঠানে দর্শক চাহিদায় সেরা উপস্থাপক। উপস্থাপনা যে একটা শিল্প, তিনি তা প্রমাণ করেছেন। দেশে প্রথম ভেজালবিরোধী আন্দোলন ইত্যাদির মাধ্যমে শুরু হয়। টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের প্রযোজনা শিল্পে তিনি সেরা পথপ্রদর্শক। ১৯৯৮ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ টিভি অনুষ্ঠান হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পায় ‘ইত্যাদি’। পরবর্তীতে নুতনদের উৎসাহিত করার জন্য তিনি তাকে আর পুরস্কার না দেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান। তার প্রযোজনায় অন্যান্য ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান যেমন ‘ঝলক, ঈদ আনন্দমেলা, কথার কথা’ প্রচার হতো।
তবে হানিফ সংকেতের পরিচয় ইত্যাদিতে সীমাবদ্ধ নয়। একাধারে তিনি একজন পরিচালক, উপস্থাপক, নাট্যকার, নির্মাতা, লেখক ও নির্দেশক।
একজন সফল লেখক ও কলামিস্ট হিসেবে রয়েছে তার রয়েছে সুখ্যাতি। উপন্যাস ও রম্য রচনা মিলিয়ে এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকাশনী হতে অর্ধশতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে তার অসংখ্য কলাম প্রকাশিত হয়েছে।
গভীর পর্যবেক্ষণ, রমনীয় বর্ণনা, ক্ষুরধার বুদ্ধিবৃত্তি তার উপস্থাপিত বিষয়গুলোকে করে তোলে জীবন্ত। তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হলো- শ্রদ্ধেয় রাজধানী, নিয়মিত অনিয়ম, কষ্ট, চৌচাপটে, এপিঠ ওপিঠ, ধন্যবাদ, অকাণ্ড কাণ্ড, খবরে প্রকাশ, ফুলের মতো পবিত্র, প্রতি ও ইতি, আটখানার পাটখানা, বিনীত নিবেদন, হামানদিস্তা, রঙ্গ বিরঙ্গ, কিংকর্তব্যবিমূঢ়, গণ্যমান্য সামান্য, বিশেষ সবিশেষ অবিশেষ, বিস্ময়ের বিশ্বপথে, সৎ খোঁজার পথ খোঁজা, কে খোঁজে কে বোঝে, বিশ্বাসেরই নিঃশ্বাস নাই, টনক নড়াতে টনিক ইত্যাদি।
নাট্যকার হিসেবেও হানিফ সংকেত যথেষ্ট দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেছেন। শুধুমাত্র বিশেষ দিন উপলক্ষে নির্মিত তার নাটকের সংখ্যা অর্ধশতাধিকের ওপরে। সমাজ ও পরিবারের চিরায়ত মূল্যবোধ, যা হারিয়ে যেতে বসেছে এবং আমাদের চারপাশের অতি চেনাজানা বিষয়গুলো গভীর পর্যবেক্ষণ শক্তির মাধ্যমে তিনি নাটকে তুলে ধরেন।
হানিফ সংকেত পরিচালিত আলোচিত নাটকগুলো হলো- আয় ফিরে তোর প্রাণের বারান্দায়, দুর্ঘট, তোষামোদে খোশ আমোদে, বিপরীতে হিত, শেষে এসে অবশেষে, অন্তে বসন্ত, ফিরে আসে ফিরে আসে, পুত্রদায়, তথাবৃত যথাকার, কিংকর্তব্য, ভূত অদ্ভুত, শোধ বোধ, শূন্যস্থান পূর্ণ ও কুসুম কুসুম ভালোবাসা।
দেশের মতো বিদেশেও রয়েছে তার যথেষ্ট সুখ্যাতি। প্রবাসী বাঙালিদের আমন্ত্রণে এ পর্যন্ত তিনি অর্ধশতাধিক দেশ ভ্রমণ করেন। এসব সফরে তিনি তুলে ধরছেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। দেশের জন্য বয়ে এনেছেন সম্মান।
সমাজ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১০ সালে একুশে পদক এবং পরিবেশ শিক্ষা ও প্রচার (ব্যক্তিগত ক্যাটাগরিতে) ২০১৪ সালে পান জাতীয় পরিবেশ পদক।
এএম/এমএমজে