ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় আরও দুজন নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় আরও দুইজন নিহত হয়েছেন। রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত অপরজন হলেন আলামিন (১৯)। তিনি সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের সফী আলীর ছেলে। এ নিয়ে সহিংসতায় নিহতের সংখা ৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েকজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে কীসের আঘাত, সেটি ময়নাতদন্ত না করলে বলা যাবে না।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, কোন সহিংসতায় এই দুইজন মারা গেছেন, সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রোববার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা সদরের পশ্চিম মেড্ডা ও সরাইলের খাটিহাতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে হরতাল সমর্থনকরীদের দফায় দফায় ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হন।
তবে এ বিষয়ে পুলিশের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।
হেফাজতকর্মীরা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরের কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। হরতালকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, পৌর মিলনায়তন, জেলা গণগ্রন্থাগার, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয় ও বাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন।
এছাড়া দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব ভবনেও হামলা চালায় হেফাজতকর্মীরা। এছাড়া তাদের হামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও আমাদের নতুন সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত রাফি আহত হয়েছেন।
এর আগে শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর বাজার এলাকায় পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে হেফাজতের নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছয়জন মারা যান।
আজিজুল সঞ্চয়/এমএসআর