চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোবারক হোসেন বাবু (৪৮) নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

গুলিবিদ্ধরা হলেন- বাহাদুরপুর গ্রামের ইমরান বেপারী (১৮) ও জহির কবিরাজ (৩৫)। তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

নিহত মোবারক হোসেন বাবু বাহাদুরপুর গ্রামের আবুল বেপারীর ছেলে। আহত ইমরান তার ছেলে এবং জহির কবিরাজ একই গ্রামের মনু কবিরাজের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই দুই গ্রুপ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানের অনুসারী। 

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সিগমা রশিদ জানান, রোগীকে একেবারেই শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে রোগী মারা যান।

মতলব উত্তর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দীন বলেন, আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হলে এক যুবক নিহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল বাহাদুরপুর আমার এলাকা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। ওখানে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী রাজ্জাক প্রধান ও কালু বেপারীর মধ্যে সমস্যা ছিল। সেটিকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মিজান গ্রুপের সমর্থকরা আমার গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে।

আনোয়ারুল হক/আরএআর