নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষ ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, বসুরহাট পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক ওবায়দুল হক রাফেল ও ছাত্রদল নেতা সাইমুন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ জুন চট্টগ্রামের তারুণ্যের সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার ও সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সরকারি মুজিব কলেজ গেট এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক ওবায়দুল হক রাফেল, ছাত্রদল নেতা সাইমুন আহত হন। এই ঘটনার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বসুরহাট বাজারে শোডাউন করে। সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে থানার সামনে প্রধান সড়কে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি হলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপন ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর আহত হন। আহত রাফেলকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রিপনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও বাকি দুইজনকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের দলীয় কোন্দলে একে অপরের ওপর হামলা করে। পরে তারা অতর্কিত ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করে। এতে আমার দলের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

বসুরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার চট্টগ্রামের তারুণ্যের সমাবেশে আমাদের যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুইজনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। সেটি আমরা সেখানেই মীমাংসা করে দিয়েছি। পরে সকালে যুবদলের এক কর্মীর ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক গ্রুপ মিছিল নিয়ে কলেজ গেটে হামলা করে। বিষয়টি আমরা দলীয়ভাবে নিরসনের চেষ্টা করি। এরই মধ্যে ছাত্রলীগের এক গ্রুপ অতর্কিত হামলা চালিয়ে  রিপন, রাফেল ও সাইমুনকে পিটিয়ে জখম করে। পরে পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলমগীর আহত হন।

কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবরে বসুরহাট বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ কাউকে লাঠিচার্জ করেনি। সংঘর্ষের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

হাসিব আল আমিন/এমজেইউ