বরিশাল সিটিতে কাউন্সিলর হলেন যারা
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে থাকা ৪০ জনকে বেসরকারিভাবে কাউন্সিলর ঘোষণা করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরমধ্যে ৩০ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ১০ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
সোমবার (১২ জুন) রাতে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র থেকে এই ঘোষণা দেন তিনি। রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, চূড়ান্তভাবে ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪২ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী।
বিজ্ঞাপন
এরমধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আউয়াল মোল্লা, ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মুন্না হাওলাদার, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ হাবিবুর রহমান ফারুক, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ শামসুদ্দোহা আবিদ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. কেফায়েত হোসেন রনি, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে খান মোহাম্মদ জামাল হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম খোকন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সেলিম হাওলাদার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ হুমায়ুন কবির লিংকু, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জয়নাল আবেদিন হাওলাদার, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মজিবর রহমান, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আনোয়ার হোসেন রয়েল, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মেহেদী পারভেজ খান, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শাকিল হোসেন (পলাশ), ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সামজিদুল কবির বাবু, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাহিন সিকদার, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আকতার উজ্জামান গাজী হিরু, ১৮ মো. জিয়াউল হক, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউর রহমান, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ সাঈদ আহমেদ মান্না, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আনিছুর রহমান দুলাল, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে এনামুল হক বাহার, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ফিরোজ আহমেদ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে সুলতান মাহমুদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হুমায়ূন কবির, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হুমায়ুন কবির, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ইমরান মোল্লা ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. খায়রুল মামুন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
১ নম্বর সংরক্ষিত আসনে ডালিয়া পারভিন, ২ নম্বর সংরক্ষিত আসনে আলমতাজ বেগম, ৩ নম্বর সংরক্ষিত আসনে কোহিনুর বেগম, ৪ নম্বর সংরক্ষিত আসনে আয়শা তৌহিদ লুনা, ৫ নম্বর সংরক্ষিত আসনে ইসরাত জাহান লাভলী, ৬ নম্বর সংরক্ষিত আসনে মজিদা বোরহান, ৭ নম্বর সংরক্ষিত আসনে সালমা আক্তার শিলা, ৮ নম্বর সংরক্ষিত আসনে রেশমী বেগম, ৯ নম্বর সংরক্ষিত আসনে সেলিনা বেগম ও ১০ নম্বর সংরক্ষিত আসনে রাশিদা পারভীন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
হুমায়ূন কবির বলেন, জয়ীদেরকে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির ১৯ জনের মধ্যে ৯ জন এবং ৪ জন জামায়াতের মধ্যে একজন কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন। অর্থাৎ ১৩ জন কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের বিরোধী শিবিরের। জাতীয় পার্টি বা অন্য দলের কেউ নির্বাচিত হননি। যদিও নির্বাচিত বাকিদের মধ্যে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ও সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী রয়েছে।
বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান ফারুক, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম হাওলাদার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ হুমায়ন কবীর লিংকু, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউল হক মাসুম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফিরোজ আহমেদ, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন কবীর, সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিনা বেগম, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রাশিদা পারভীন ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মজিদা বোরহান এবং জামায়াতে ইসলামীর চারজনের মধ্যে কেবল ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনিরুজ্জামান তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন।
৩০টি ওয়ার্ডে ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪ কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন। ভোট পর্যবেক্ষণে ১১৪৬ টি সিসি ক্যামেরা ছিল। এরমধ্যে মোট ১ লাখ ৪২ হাজার ১৭৭ জন ভোট দিয়েছেন। যেখানে অবৈধ বা বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা মাত্র ৪২১ টি। সেই হিসেবে মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫৬টি। আর এ হিসেবে ভোট প্রদানের শতকরা হার ৫১.৪৬ শতাংশ।
ভোটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চার হাজার ৪০০ পুলিশ, আনসার, এপিবিএন, র্যাব দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।
নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থীসহ মোট ১৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে