ইভিএমে অভিজ্ঞতা কম, কাঙ্ক্ষিত ভোটার নেই কেন্দ্রে
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বসিক) নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দিচ্ছে ভোটাররা। তবে প্রথম ঘণ্টায় আশাব্যাঞ্জক উপস্থিতি নেই। বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ভোটাররা জানিয়েছেন ইভিএমে অভিজ্ঞতা কম থাকায় এবং আগের নির্বাচনগুলোর নেতিবাচক মনোভাবে ভোটার কম আসছেন।
বিজ্ঞাপন
নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ড শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত কেন্দ্র, সাগরদি মাদ্রাসা কেন্দ্র, নূরিয়া স্কুল কেন্দ্র, নব আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে এআরএস বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে।
১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নব আদর্শ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, প্রথম ঘণ্টায় ১১৪টি ভোট পড়েছে। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৩০৬ জন। তিনি বলেন, ভোটারের উপস্থিতি সন্তোষজনক।
এই কেন্দ্রে দেখা গেছে পুরুষ ভোটারের সারি শূন্য। নারীদের দুটি কক্ষের সামনে কয়েকজন ভোটার রয়েছেন।
ভোটার রফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই এভাবে শূন্য রয়েছে। মাঝে মধ্যে ভোটার আসে। আমি ভোট দিতে এসে দেখলাম লোক নেই।
আরেক ভোটার রেহেনা বলেন, আধা ঘণ্টা আগে এসেছি। লোক নেই। দ্রুতই ভোট দিতে পারবো বলে আশা করছি।
তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেল এআরএস বিদ্যালয় কেন্দ্রে। সেখানে ভোটার সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সারি। দেড় ঘণ্টা ধরে অপেক্ষায় আছি। আশাকরি দেরি হলেও ভোট দিতে পারবো।
প্রথমবারের মতো সব কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে নগরের ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি বুথে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়।
শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্কুল কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা আগে থেকেই ভোট দিতে ভোটারদের কেন্দ্রে আসার জন্যও আহ্বান জানিয়েছি।
সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়াতে ভোটউৎসব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে ভোটকেন্দ্রে ও নগরে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাড়ে ৪ হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম।
ফলে প্রতি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় ১২ জন আনসার সদস্যসহ ৬-৭ জন পুলিশ কাজ করছে। এছাড়া পুলিশের মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাবের ১৬ টি স্ট্রাইকিং টিম, র্যাব-পুলিশের গোয়েন্দা টিমের সদস্যরা নগরজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। যেখানে টহলের পাশাপাশি নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে চেকপোস্টও বসিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর পাশাপাশি ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন।
উল্লেখ্য, বরিশালের এবারের সিটি নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন। হিসাব অনুযায়ী পুরুষের থেকে ১ হাজার ৩২০ জন নারী ভোটার বেশি।
আর নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থী, ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪২ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থীসহ মোট ১৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসএম