দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসটিতে আগুন লেগে যায়

রাজশাহীর কাটাখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাতে বাসচালককে আসামি করে কাটাখালী থানার উপপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

চালকের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবেই তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, রাতে মামলাটি দায়ের করে পুলিশ। দুর্ঘটনার পর থেকেই চালক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ জনের মরদেহ রামেক হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জনের মরদেহ পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। ডিএনএ নমুনা নিয়ে মরদেহ শনাক্ত করা হবে।

এদিকে, মরদেহ নিতে রাতেই রাজশাহীতে পৌঁছেছেন স্বজনরা। আইনি প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 

এর আগে, শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে নগরীর কাটাখালী থানার সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটিতে আগুন লেগে যায়। দুর্ঘটনার পর আটজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এদের মধ্যে ছয়জন মারা যান। পরে আগুনে পোড়া মাইক্রোবাস থেকে নারী ও শিশুসহ ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৭ জন মারা গেছেন। এরা সবাই মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া পাভেল (১৯) নামে এক মাইক্রোবাস আরোহী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুর্ঘটনায় বাসের হেলপারসহ তিন যাত্রী আহত হয়েছেন। তারাও রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তাদের অবস্থা ততটা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ঘটনা তদন্ত করছে জেলা প্রশাসনের ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি। 

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এসপি