জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম-ঠিকানা বদলে ছদ্মবেশে ২০ বছর পলাতক ছিলেন নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল হামিদ (৪০)। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। অবশেষে ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ এর সদস্যরা আব্দুল হামিদকে গ্রেপ্তার করেছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (৩১ মে) দুপুরে ময়মনসিংহ র‌্যাব ১৪-এর সিনিয়র এএসপি সবুজ রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার আব্দুল হামিদ নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার বাড়েঙ্গা গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, ২০০৩ সালের আগস্টে আব্দুল হামিদ তার স্কুলছাত্রী শালিকাকে (১৩) নিজ গ্রামের স্কুল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে একটি গাড়িতে উঠিয়ে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তিনদিন আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে শালিকাকে সেখানে অসুস্থ অবস্থায় রেখে নিজ বাড়ি পূর্বধলায় চলে আসে হামিদ। পরে ওই স্কুলছাত্রী কিশোরী স্থানীয়দের সহায়তায় পূর্বধলায় নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি জানায়। পরে এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। 

ঘটনার পর আব্দুল হামিদ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দায় অবস্থান নেয়। সেখানে গিয়ে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকে। এদিকে ওই মামলায় আব্দুল হামিদকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন ও অপহরণের দায়ে আরও ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত। পরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে হামিদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে বুধবার সকালে তাকে পূর্বধলা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পূর্বধলার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বুধবার দুপুরে আব্দুল হামিদকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জিয়াউর রহমান/এমএএস