পুলিশ পরিচয়ে বিকাশের মাধ্যমে লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা
পুলিশ পরিচয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া তিন বিকাশ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বরিশাল মহানগরীর কাউনিয়া থানা পুলিশ রাজবাড়ী ও টাঙ্গাইলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় প্রতারণায় ব্যবহৃত দুটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হলেও টাকা উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছেন কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম।
তিনি জানান, এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত চলছে। একই সঙ্গে টাকা উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতাররা হলেন- টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার রফিকুল ইসলামের ছেলে রোজন মিয়া (২৭), তমশের আলীর স্ত্রী জোবেদা আক্তার (৫৫) ও তমশের আলীর ছেলে জে আর এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জহিরুল ইসলাম (৩৭)।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বরিশাল নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফিরোজ আলমের স্ত্রী কহিনুর বেগমের কাছে ০১৩১১৩৯৭০২১ নম্বর থেকে কল আসে। অপর প্রান্ত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি কহিনুরকে জানান- তার বড় ভাই সোবাহান মিয়া নারীসহ বরিশালের বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে আটক হয়েছেন।
মোবাইলের অপর প্রান্তের ব্যক্তি আরও বলেন, পুলিশের কাছ থেকে সোবাহানকে ছাড়িয়ে নিতে হলে এক লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে। কহিনুর বেগমের কাছে ওই ব্যক্তি নিজেকে বাবুগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। ভাই সোবাহান পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন শুনে তাকে ছাড়িয়ে নিতে দাবিকৃত এক লাখ টাকার মধ্যে বিকাশে ৩০ হাজার করে মোট ৯০ হাজার এবং রকেট নম্বরে ১০ হাজার টাকা পাঠান।
টাকা পাঠানোর পর কহিনুর তার ভাই সোবাহান মিয়ার কাছে মোবাইল করেন। সোবাহান জানান, তিনি পয়সারহাট বাজারে কাজ করছেন। তখন কহিনুর বুঝতে পারেন তিনি বিকাশ প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ২২ মার্চ কাউনিয়া থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন কহিনুর বেগম।
এরপর অভিযানে নামে নগরীর কাউনিয়া থানার সহকারী কমিশনার (এসি) মাসুদ রানা। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওইদিনই টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে রোজন মিয়া ও জোবেদা আক্তারকে গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে মো. জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর