কিশোরগঞ্জে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, তদন্তের নির্দেশ
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
রোববার (২১ মে) কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে ওই নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার উল্লিখিত বিবরণে জানা যায়, কয়েক বছর আগে বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে ফোনে পরিচয় হয় ওই নারীর। পরিচয়ের সুবাদে ফোনে কথাবার্তায় একসময় তাদের মাঝে আন্তরিকতা ও প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে। একপর্যায়ে মামুন ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এরপর গত ৫ মার্চ বিকেলে মামুন ওই নারীর বাড়িতে এসে গল্প করার একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক কয়েকবার ধর্ষণ করে।
মামুন এ ব্যাপারে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করে এবং ইজ্জত হারানোর ভয় দেখায়। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে মামুন। পরে ওই নারী তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে একজন মৌলভি ডেকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কাবিনের কথা বললে, মামুন তাকে খারাপ মেয়ে বলে গালিগালাজ করে এবং বিয়ে না করার কথা জানিয়ে দেন। এরপর ওই নারী পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়। পরে তারা স্থানীয়ভাবে সালিসের আয়োজন করলেও মামুন সেখানে আসেননি। পরে বাধ্য হয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশায় ওই নারী গত ২১ মে মামুনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী ওই নারী বলেন, মামুন দীর্ঘদিন আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যবহার করে এখন অস্বীকার করছে। যখনই তাকে আমি বিয়ের কাবিনের কথা বলেছি, তখন থেকেই সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে। সে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় কেউ আমাকে কোনো সাহায্য করছে না। অবশেষে বিচারের আশায় আদালতে মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম ভুঁইয়া সুজন জানান, ওই নারী বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এমজেইউ