খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (১৯ মে) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। আগে থেকেই সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রাইভেটকারে করে ক্লাবের সামনে আসেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকে। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অপরদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।

বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছে। কিন্তু খুলনায় কেন প্রত্যেকবার শান্তিপূর্ণ সমাবেশে এভাবে পুলিশ উসকানি দিয়ে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট মারবে। আজকে আমাদের ১২ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্য শুরু করেছেন মাত্র। তখনই শুরু করে দিল মুহুর্মুহু টিয়ারশেল নিক্ষেপ। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। হঠাৎ করে টিয়ারশেল-গুলি নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমাদের বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমাদের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার আছে সভা-সমাবেশ করার। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা কেন আসবে।

অপরদিকে বিনা অনুমতিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তা আটকে সমাবেশ করার চেষ্টা করে এবং পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বলে অভিযোগ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে বিএনপির একটি কর্মীসভা ছিল। তারা খুলনা প্রেসক্লাবে প্রোগ্রাম করছিলেন। কিন্তু তাদের নেতৃস্থানীয় নেতারা আসার পর বেশ কিছু নেতাকর্মী রাস্তা বন্ধ করে প্রোগ্রাম শুরু করে। আমরা পেছনে সরে গেলেও কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ফলে আমরা টিয়ারশেল এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে বাধ্য হই। এছাড়া আমাদের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।

মোহাম্মদ মিলন/এমজেইউ