কুমিল্লায় পাচারকারীদের হাত থেকে ৬ মাদরাসাছাত্রকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মোবারক হোসেন (৫০) ও ইমন খান জিলন রায়হান (২৭) নামের মানবপাচার চক্রের ২ সদস্যকে আটক করা হয়। রোববার (১৪ মে) তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের মামলা দায়ের করা হয়।

এর আগে শনিবার (১৩ মে) বিকেলে জেলার লাকসাম উপজেলার লাকসাম জংশন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। রোববার ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন লাকসাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ।

তিনি বলেন, আটককৃত মানব পাচারকারীরা দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চগড়, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মাদরাসা টার্গেট করে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের প্রলুব্ধ করে নিজেদের কব্জায় নেয়। পরে তাদের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণসহ শারীরিক, মানসিক নিপীড়ন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে কার্যসিদ্ধি করে।

আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, শনিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় শনিবার (১৩ মে) দুপুরে জংশন এলাকার আজমিরি হোটেলের সামনে থেকে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কবল থেকে চাঁদপুর ওয়ারলেস বাজারের ফজলুল উলূম হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মো. আবু সাঈদ (১৩), নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি আমলনগর এলাকার মেহেরাজ হোসেন (১৪), ঢাকা মুগদার মারকাজুল কওমী মাদ্রাসার ছাত্র মো. শরিফুল ইসলাম (১২), চট্টগ্রামের অলংকার মোড়ের দারুস সুন্নাহ আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মো. ইমাম হাসান (১৫), চৌদ্দগ্রামের গুণবতী এলাকার জামিয়া ফারুকিয়া এমদাদুল উলূম মাদ্রাসার ছাত্র তামিম (১৫) ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকার মো. ফাহিমকে (১৫) উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও বলেন, তারা এসব ছাত্রদের ভারতে পাচারের পরিকল্পনা করছিল। এ ঘটনায় এক ছাত্রের বাবা লাকসাম থানায় এসে দুইজনের নাম উল্লেখ করে অপর একজনকে অজ্ঞাত রেখে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

আরিফ আজগর/এবিএস