কক্সবাজারে হাজার পর্যটকের ঢল

করোনা মহামারির মাঝেও নতুন বছরের শুরুতে চাঙা পর্যটন ব্যবসা। অধিক পর্যটক আগমন করায় হোটেল-মোটেলসহ সৈকত এলাকার ব্যবসায়ীরা দারুণ খুশি। গত ৭ মাসে এ খাতে আয় হয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। 

ব্যবসায়ী ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের তথ্য মতে, ২০২০ সালের আগস্ট থেকে ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ পর্যন্ত কক্সবাজারের পর্যটন খাতে আয় হয়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। যা অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। আর এসব আয় থেকে ভ্যাট আদায় হয়েছে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা।

কক্সবাজার কাস্টমসের সিনিয়র কর্মকর্তা সৈয়দুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০২০ সালের মার্চ থেকে প্রায় চার মাস করোনার কারণে সব কিছু বন্ধ ছিল। কিন্তু আগস্ট থেকে লকডাউন ওঠে যাওয়ার পর থেকে আবারও সচল হয় পর্যটন ব্যবসা। তখন থেকে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভ্যাট আদায় হয়েছে ১৬০ কোটি টাকা। 

২০২০ এর বিদায়, নতুন বছর বরণ, ভালবাসা দিবস এবং ২১ ফেব্রুয়ারি ঘিরে সৈকত শহর কক্সবাজারে ভিড় করেছিল হাজার হাজার পর্যটক। করোনার মাঝেও পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত ছিল সৈকতের প্রতিটি পয়েন্ট।

বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমনে কর্মব্যস্ত ছিল সৈকত এলাকার ফটোগ্রাফার, জেডস্কি ও বিচ বাইক চালকরা। একই সঙ্গে জমজমাট ছিল বার্মিজ মার্কেটগুলো। এ ছাড়া বেশির ভাগ সময় সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল মোটেল ও রিসোর্ট পর্যটকে পূর্ণ ছিল ।

কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র আবু তালেব শাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আশা করছি মহামারি কাটিয়ে আমরা আবার নতুন করে শুরু করতে পেরেছি। করোনায় যে লোকসান হয়েছে তা অনেকটা কাটিয়ে ওঠতে পেরেছি। আগামীতে আরও ভাল ব্যবসা হবে বলে আশা করছি।

কলাতলী মেরিনড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, ইনানী ও প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে গত তিন দিনে ৩ লাখেরও বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। এ হিসেবটা মিলালে বোঝা যাবে কত পর্যটক কক্সবাজারে এসেছেন করোনার পরে। আশার কথা হলো, বেকার কর্মচারীরা কাজ ফিরে পেয়েছেন। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনাকালীন অবস্থার উন্নতি হয়েছে অনেকটা। এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে চলমান অর্থনৈতিক চাকা আরও সচল হবে।

তবে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বৃদ্ধি পাওয়ায় সৈকত এলাকায় ভ্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। করোনার কথা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এসপি