ঘূর্ণিঝড় মোখায় ভাঙল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫০০ ঘর
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে তীব্র বাতাস ও ঝড়ো হাওয়ায় ৫০০টির মতো ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে শেল্টার সেক্টর।
রোববার (১৪ মে) বিকেলে মোখা বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করার সময় উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হওয়া বয়ে যায়। এতে অস্থায়ী কিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন,রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘরগুলো আসলে টেম্পোরারি শেল্টার , বাতাসের বেগে বেশ কিছু শেল্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫০০ এর মতো শেল্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে কোনটি আংশিক, কোনটি সম্পূর্ণ। দুই একটি জায়গায় গাছ পড়েছে এ রকম দুই একটি জায়গায় মাটি সরে গেছে। কোনো হতাহতের খবর পায়নি। মানুষের কোনো ক্ষতি হয়নি সেটা নিশ্চিত বলা যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামতে শেল্টার সেক্টর ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে শেল্টারগুলোর ক্ষতি হয়েছে সেগুলো মেরামতে আমাদের শেল্টার সেক্টর কাজ করছে। আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম বাতাসের গতিবেগ যাই হোক না কেন, এগুলো যেহেতু টেম্পোরারি শেল্টার তাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া ছিল। পর্যাপ্ত শেল্টার কিট আছে এবং শেল্টার সেক্টর সেগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করবে।
উখিয়ার ১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মোহাম্মদ হাশেম বলেন, বৃষ্টি ও বাতাসের সময় আমাদের ভয় কাজ করছিলো। আমার ব্লকে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি, তবে দুই-তিনটি গাছ পড়েছে।
পরিবারসহ ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছিলেন আব্দুল করিম। তিনি বলেন, আমার ঘর পাহাড়ের নিচে তাই আমি এখানে চলে এসেছিলাম পরিবারের ৫ সদস্যসহ। বৃষ্টি থেমেছে এখন চলে যাব। জানি না ঘর ঠিক আছে কিনা।
৪০০০ এর অধিক স্বেচ্ছাসেবক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন আশ্রিতদের সচেতন করা, নিরাপদে সরিয়ে নেওয়াসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন কাজে তৎপর ছিলেন।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ আরিফ বলেন, মাইকিং করা, ঝুঁকিপূর্ণ শেল্টারে থাকা মানুষগুলোকে কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে যাওয়াসহ আমরা বিভিন্ন কাজে সব সময় ছিলাম। এখন ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী কোনো ক্ষতি হলে সেখানেও আমরা কাজ করব। ইতোমধ্যে ভেঙে পড়া গাছ সরাতে কাজ শুরু হয়েছে।
সাইদুল ফরহাদ/আরএআর