অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ভারী বর্ষণের ফলে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন। ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পাহাড়ের ঢালে বসবাসরতদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

শনিবার (১৩ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসনের একটি টিম শহরের শিমুলতলী, লোকনাথ মন্দির এলাকা, বি.এম ইনস্টিটিউট এলাকাসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে। প্রশাসনের এই টিমে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক, জেলা প্রশাসন এবং অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেন।


জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে পার্বত্য অঞ্চলে অতি বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে এবং কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বর্ষণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য বারবার করে বলছি আমরা।
 
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, যেহেতু ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে, তাই বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসও ঘটতে পারে। পাহাড় ধসের ফলে যাতে কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতি না হয় তাই আমরা পাহাড়ের ঢালে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে বলছি।

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোখা ও সম্ভাব্য দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাঙামাটি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মোট ২৯টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের জন্য মোট ২২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। 

এদিকে শনিবার (১৩ মে) বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের নৌ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সন্ধ্যা থেকেই রাঙামাটিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। রাতে বৃষ্টির তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মিশু মল্লিক/আরএআর