উন্নয়নে গতি আনতে চান জায়েদা, আধুনিক নগর গড়ার প্রতিশ্রুতি আজমতের
আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। পাড়া-মহল্লায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীরা ধৈর্য নিয়ে শুনছেন ভোটারদের কথা। সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে পাশে থাকার ও পাশে রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
এবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের চেয়ে বেশি কৌশলী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে মাকে নিয়ে ভোটযুদ্ধে নামা সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই গঠন করে ফেলেছেন তার কেন্দ্র অনুযায়ী কমিটি। দুদিন ধরে জাহাঙ্গীর আলম তার মাকে নিয়ে রাত-দিন মহানগরের তৃণমূলে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মা ও ছেলেকে এক নজর দেখতে ভীড় করছেন পাড়া-মহল্লার লোকজন।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল থেকেই জায়েদা খাতুন তার দেয়াল ঘড়ি প্রতীকের সমর্থনে ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে সঙ্গে নিয়ে মহানগরের কাশিমপুর সারদা এলাকায় গণসংযোগ করেন।
এ সময় জায়েদা খাতুন ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই শহরের থেমে যাওয়া উন্নয়নে পুনরায় গতি আনতে ভোট চাই। এ নগর আমাদের সবার, তা ধ্বংসের হাত থেকে ভোটের মাধ্যমে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য একটি নগর গড়তে আমার ছেলে কাজ শুরু করেছিল, নগরের যে প্রশস্ত রাস্তাঘাট, ড্রেন তা তার উদ্যোগেই হয়েছে। সে উন্নয়ন কাজ পরিকল্পনা করে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আমি তা এগিয়ে নিতে ভোট চাই।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান সকালে গাজীপুর নগরীর শিববাড়ী মোড় এলাকায় গণসংযোগ করে দুপুরে শহরের একটি কনভেনশন সেন্টারে কর্মীসভায় যোগ দেন। কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল। কর্মীসভায় আজমত উল্লা খান স্মার্ট বাংলাদেশ ও আধুনিক নগর গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চান।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এ লক্ষ্যেই নৌকা প্রতীককে জয়লাভ করাতে হবে।
দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তার পক্ষে স্বল্প সময়ে সবার কাছে যাওয়া হয়তো সম্ভব নয়, তাই কর্মীদেরই ভোটারদের কাছে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাইতে হবে। নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের ১৮ বছরের পুরনো অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার নির্বাচিত হতে পারলে আধুনিক এক বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলবো।
সকাল থেকেই নগরীর কাশিমপুর এলাকায় গণসংযোগ করেন আরেক স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সরকার শাহ নুর ইসলাম রনি। তিনি তার হাতি প্রতীকের সমর্থনে ভোট চেয়ে বাসযোগ্য নগর গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
অপর মেয়র প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের গাজী আতাউর রহমান মহানগরীর পুবাইল এলাকা ও জাতীয় পার্টির এমএম নিয়াজ উদ্দিন মহানগরের বাসন, চান্দনা এলাকায় গণসংযোগ করে নগরের উন্নয়নের জন্য নগরবাসীর কাছে ভোট চান।
তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মোট মেয়র প্রার্থী আটজন। ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ২৪৩ জন ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ৭৮ জন।
শিহাব খান/আরএআর