কুমিল্লায় বোরকা পরে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের চালক সুমন হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ। এসময় হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া মাইক্রোবাসটি এবং বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়। 

শনিবার (৬ মে) রাতে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মাইক্রোবাসচালক সুমন হোসেন জেলার তিতাস উপজেলার লালপুর এলাকার শামসুল হকের ছেলে। 

রোববার (৭ মে) সকালে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন।

অপরদিকে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেওয়া তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ বিষয়ে রোববার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারকৃতদরে বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন র‍্যাব ১১ -এর কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।

প্রসঙ্গত, গত রোববার রোববার (৩০ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার এলাকায় জামাল হোসেন নামের এক যুবলীগ নেতাকে বোরকা পরে গুলি করে তিন দুর্বৃত্ত। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জামাল হোসেন তিতাস উপজেলার নোয়াগাঁও জিয়ারকান্দি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তিনি তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। গৌরিপুর একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন জামাল। হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর জামাল হোসেনের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

আরিফ আজগর/আরকে