বনলতা সেনের এলাকার সঙ্গে জিতে যাওয়া কঠিন : ব্যারিস্টার সুমন
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, নাটোরের বনলতা সেনের এলাকার সঙ্গে জিতে যাওয়া আসলেই কঠিন। আপনাদের এলাকায় নাকি অ্যাম্বুলেন্স নেই। একটা অ্যাম্বুলেন্সের দাম ১২ লাখ টাকা। আমি ৫ লাখ টাকা দেব। যদি এক মাসের মধ্য বাকি টাকার জোগার না হয়, তাহলে আমি বাকি টাকা বাবার জমি বিক্রি করে দেব।
শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর শহীদ মমতাজ উদ্দিন স্টেডিয়ামে আয়োজিত ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম গোপালপুর একাদশের মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আজকে আমি ব্যারিস্টার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের বেশির ভাগ লোক যারা দুর্নীতি করে, তাদের আমাকে হিসেব করা লাগে। আমি অন্য কিছুর জন্য আপনাদের কাছে আসিনি। আমি শুধু আসি ফুটবলের জন্য। আর আপনাদের বলতে চাই, জীবনে পড়াশোনা ছাড়া কোনো সম্ভাবনা নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সমাজ নষ্ট হওয়ার কারণ কিন্তু নষ্টদের নষ্টামির জন্য না। ভালো মানুষ যখন নীরব হয়ে যায়। আদর্শবান মানুষ যখন আলাদা আলাদা হয়ে যায় তখন কিন্তু সমাজ নষ্ট হয়ে যায়। যখন নাটোর, বগুড়া, হবিগঞ্জ, সিলেটের ভালো ভালো পরিবারের আদর্শবান মানুষগুলো দাঁড়িয়ে যাবে, তখন সমাজ এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে। তখন আমরা সবাই একসঙ্গে দাঁড়াতে পারব। দেশে দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোর ব্যক্তিরা আপনে পালিয়ে যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ শুধু মুখে বললে হবে না। কাজে-কর্মে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে হবে। যারা হাইব্রিড তারাই মুখে মুখে জয় বাংলা আর অন্তরে কিন্তু সম্পদ সামলা। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় যান, কাজ করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথাগুলো তাই। আওয়ামী লীগের নেতারা মাঠে যান, আমাদের উন্নয়নের কথাগুলো বলেন। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাদের সমস্যার কথা শুনুন।
ফুটবলপ্রেমী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় লাভলী ফাউন্ডশনের আয়োজনে নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর খেলতে আসেন তিনি।
ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম গোপালপুর একাদশের মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি ০-০ গোলে ড্র হয়।
তাপস কুমার/আরএআর