যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে বোরকা পরে গুলি করে হত্যার ৪৮ ঘণ্টা পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ মে) রাতে নিহত জামাল হোসেনের স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ ও ৮ জনকে অজ্ঞাত করে মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার (৩ মে) সকালে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভূইয়া ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, নিহত যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার স্বজনরা সবাই মরদেহের সঙ্গে ঢাকায় ছিলেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিয়ে এসে দুটি জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। সেজন্য তার শোকাহত পরিবার মামলা দায়ের করতে একটু দেরি করেছে। মামলা হওয়ার পর আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি।

আরও পড়ুন : বোরকা পরে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা 

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খন্দকার আশফাকুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। গোয়েন্দা তৎপরতা অধিকতর বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করবো। হত্যাকারীরা সবাই বোরকা পরে মুখোশ লাগানো ছিল, সেজন্য কিছুটা সময় লাগছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে মামলার আগ থেকেই পুলিশ এ ঘটনায় কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (৩০ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার এলাকায় যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে বোরকা পরে গুলি করে তিন দুর্বৃত্ত। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জামাল হোসেন তিতাস উপজেলার নোয়াগাঁও জিয়ারকান্দি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে এবং তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। জামাল গৌরীপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। 

আরিফ আজগর/এমজেইউ