স্কুল থেকে ফেরার পথে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে কুপিয়ে মারল বখাটে
নেত্রকোণার বারহাট্টায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মুক্তি বর্মণ (১৬) নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক বখাটে। মঙ্গলবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার ছালিপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুক্তি বর্মণ উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে এবং স্থানীয় প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
বিজ্ঞাপন
বারহাট্টা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন কুমার সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহত স্কুলছাত্রীর মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ ও নিহত স্কুলছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মুক্তি বর্মণকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল একই গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়া। বিষয়টি তার পরিবারকেও জানানো হয়েছিল। এ অবস্থায় মঙ্গলবার বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে মুক্তিকে কুপিয়ে আহত করে কাউছার। পরে তাকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকেরা নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নিহত মুক্তির সহপাঠীরা জানায়, বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বিদ্যালয় থেকে তারা একসঙ্গে বাড়িতে ফিরছিল। বিদ্যালয়ের প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ছালিপুরা এলাকায় পৌঁছানোর পর হঠাৎ কাউছার দা দিয়ে মুক্তিকে কোপাতে শুরু করে। এ সময় তারা ভয় পেয়ে দৌড় দেয় এবং চিৎকার করতে শুরু করে। পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে গিয়ে মুক্তিকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল খায়ের আকন্দ বলেন, দরিদ্র পরিবারের মেয়ে মুক্তি। মেয়েটি শান্ত ও মেধাবী ছিল। সে মানবিক শাখার ছাত্রী ছিল। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। আমরা বখাটে তরুণকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাই।
নেত্রকোণার পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ বলেন, বখাটে ওই ছেলে ছাত্রীটিকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। আজ ছাত্রীটি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ওই বখাটে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই বখাটেকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছি।
জিয়াউর রহমান/আরএআর