কুমিল্লায় জামাল হোসেন (৪০) নামে এক যুবলীগ নেতাকে বোরকা পরে গুলি করে হত্যার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার (১ মে) দুপুরের দিকে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজার এলাকার একটি গলির ওই সিসিটিভি ফুটেজ কেউ একজন ফেসবুকে পোস্ট করেন। পরবর্তীতে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ওই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গৌরিপুর বাজারের একটি গলির দুপাশে দোকানপাট। একটু দূরে অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি মোড়। বৈদ্যুতিক লাইট জ্বলছে দোকানগুলোতে, ফলে মোড় পেরিয়ে কিছুটা সড়ক আলোকিত। একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দাঁড়িয়ে আছে। আরেকটি যাচ্ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন মোড়টির দিকে। মোড়টি পার হয়ে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হেঁটে হেঁটে আসছেন। বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশা পার হয়ে যায়। কয়েকজন মুসল্লি নামাজের জন্য মসজিদের দিকে যাচ্ছেন। তিনজন লোক বোরকা পরে হেঁটে হেঁটে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনের দিক থেকেই আসছেন। তিনজনেরই মুখোশ পরা।

জামাল হোসেন দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশার কাছাকাছি এলে হঠাৎ বোরকা পরিহিত তিনজনের একজন জামাল হোসেনকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন। এরপর দুজন এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি দিতে থাকেন। এ সময় অপর একজন পিস্তল বের করে গুলি করেন। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত গুলি করা হয়। এ সময় রাস্তার দুপাশের দোকানদার এবং পথচারীরা এগিয়ে আসতে চান। বোরকা পরা তিন দুর্বৃত্ত ততক্ষণে পালাতে শুরু করলে পথচারীরা তাদের ধাওয়া করতে যান। এ সময় দুর্বৃত্তরা পথচারীদের উদ্দেশ্য করে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ফলে পিছিয়ে আসেন তারা। ঘটনার আকস্মিকতায় সঙ্গে সঙ্গেই দুপাশের দোকানদাররা তাদের দোকানের শাটার ফেলে দেন। কয়েকজন পথচারী রক্তাক্ত অবস্থায় জামাল হোসেনকে উদ্ধারের চেষ্টা করা অবস্থায় ভিডিওটি শেষ হয়।

এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খন্দকার আশফাকুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজটি আমরা দেখেছি। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আমরা আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে হত্যাকারীদের কাছাকাছি যাচ্ছি। হত্যাকারীরা যেহেতু বোরকা পরা আর মুখোশে ঢাকা ছিল, সেজন্য কিছুটা সময় লাগতে পারে।

আরিফ আজগর/এবিএস