নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বসতঘরে ঢুকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূকে (২৮) ধারালো ছুরি দিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে মুসলিম (৪০) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। 

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত গৃহবধূকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর দুপুরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নে ভুক্তভোগীর নিজ শয়নকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, স্বামী ও বাবা ভোলার একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করায় বাবার বাড়িতে দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন ওই নারী। গত কয়েক মাস ধরে বাড়িতে তাদের একটি পাকা ঘরের কাজ চলছিল। তিনি ওই নির্মাণাধীন ঘরের একটি কক্ষ প্রস্তুত করে সন্তানদের নিয়ে সেখানে থাকতেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর ছোট বোন সুখি বেগম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার রাতে সন্তানদের নিয়ে রাতের খাওয়া শেষে নির্মাণাধীন ভবনের ওই কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন তার বোন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে যান তিনি। এ সুযোগে ঘরে ওই কক্ষে এসে লুকিয়ে থাকে পাশের বাড়ির মুসলিম কন্ট্রাক্টর। পরে গৃহবধূ কক্ষে ফিরে এলে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় মুসলিম। একপর্যায়ে তাদের দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে মুসলিম তার বোনের পায়ের উপরের অংশে ধারালো ছুরি দিয়ে জখম করে। এরপর তার বোনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে মুসলিম দ্রুত পালিয়ে যান। পরে সকালে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু ছুরির আঘাতটি গভীর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়।

সুধারাম মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

হাসিব আল আমিন/আরকে