শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে মা-ছেলে নিখোঁজ, মৃত ১
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারী নিহত এবং বর ও বরের মাসহ চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।
নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীতে এ ঘটনা।
বিজ্ঞাপন
বরের স্বজন মঞ্জুর এলাহী জানান, কয়েক দিন আগে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের গুলি আউলিয়ার গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে রাব্বি হাওলাদারের সঙ্গে চরবোরহান ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হুমায়ুন মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বর রাব্বি হাওলাদার তার স্বজনদের নিয়ে নববধূকে আনতে কনের বাড়িতে যান। আজ শুক্রবার নববধূ সুমাইয়াসহ ১৪-১৫ জন আত্মীয়কে নিয়ে চরবোরহান থেকে ট্রলারযোগে বাড়ির ফিরছিলেন। এ সময় তাদের ট্রলার আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে তেঁতুলিয়া নদীতে ডুবে যায়।
দশমিনা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান জানান, বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় বর রাব্বি হাওলাদারের ফুপু লিপি বেগম (৩০) মারা গেছেন। লিপি বেগম উত্তর রনগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের স্ত্রী। এছাড়া গুলি আউলিয়াপুর এলাকার মনির হাওলাদারের ছেলে (বর) রাব্বি হাওলাদার (২০), মনির হাওলাদারের স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৪০), উত্তর রনগোপালদী এলাকার ধলু হাওলাদারের মেয়ে খাদিজা (৫) এবং উত্তর চর শাহজালাল এলাকার বেল্লাল মুন্সির মেয়ে মানসুরা (৮) নিখোঁজ রয়েছেন।
দশমিনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এখনও অভিযান চলছে।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।
মাহমুদ হাসান রায়হান/এমজেইউ