নামাজ শেষে কুশল বিনিময় করছেন আজমত উল্লাহ খান / ছবি : ঢাকা পোস্ট

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান শুক্রবার জুমার নামাজ পড়েছেন গাজীপুর শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চান্দনা চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। সেখানে উপস্থিত মুসুল্লিদের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি স্মার্ট নগর গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

তিনি বলেন, গাজীপুর শহর আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত। বর্জ্য, অপরিকল্পিত উন্নয়ন, নানা সমস্যায় আবর্তিত আজ নগরবাসী। এর মধ্য দিয়েই এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি, দল আমার ওপর আস্থা রেখে নৌকা প্রতীক দিয়েছে, ইনশাআল্লাহ যদি জয়লাভ করি তাহলে নগরবাসীকে আধুনিক স্মার্ট এক নগরী উপহার দেব। মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশসম্মত নগর গড়ে তুলবো।

এসময় তিনি নিজের পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে বলেন, আমি ১৮ বছর টঙ্গী পৌরসভার মেয়র ছিলাম, স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠান চালানোর মতো অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে, সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়েই সব উন্নয়ন করা হবে।

এদিকে নগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের খাইলকুর জান্নাতুল মাওয়া জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) মেয়রপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। এসময় তিনি উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। নগরের উন্নয়নের যে ধারা তিনি ৩ বছর অব্যাহত রেখেছিলেন সে ধারা ধরে রাখার জন্য ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করেন মুসল্লিদের কাছে।

উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে নগরবাসীর উন্নয়নে কাজ শুরু করেছিলাম। তিন বছরের মাথায় অপবাদ তুলে একটি ভুয়া চিঠির মাধ্যমে আামকে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি সব জায়গায় গিয়েছি সুবিচারের জন্য। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে গিয়েছি, আদালতে গিয়েছি। আদালত তিন বার সময় নির্ধারণ 
করেও রায় দেয়নি। নগরবাসী চেয়েছে আমি যাতে নির্বাচন করি, সেজন্য আমি প্রার্থী হয়েছি। তারা শুধু একটি প্রতীক চেয়েছে। তাদের কথা মতো আমি একটি প্রতীক তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। বাকীটা নির্ভর করবে তাদের ওপর।

তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস নগরবাসী আগেও আমার পরীক্ষা নিয়েছে, সে পরীক্ষায় আমি উত্তীর্ণ হয়েছি, এবারও আমি উত্তীর্ণ হবো; ইনশাল্লাহ। শুধু সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।

শিহাব খান/এসএম