পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল শুরুর পর এক সপ্তাহ ধরে অলস পড়ে রয়েছে ফেরি কলমিলতা ও কুঞ্জলতা। ঈদ উপলক্ষ্যে মোটরসাইকেল পারাপার করার জন্য বরিশালের ভোলা থেকে আনা ফেরি দুইটির ৪৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীও অলস সময় পাড় করছেন।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে দেখা যায়, শরীয়তপুরের জাজিরা ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে অলস পড়ে রয়েছে ফেরি দুইটি। এর আগে গত ১৮ ও ১৯ এপ্রিল মোটরসাইকেল ও যাত্রী নিয়ে চলাচল করেছে ফেরি কলমিলতা ও কুঞ্জলতা।

জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতু মোটরসাইকেল চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকে জাজিরার সাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝির ঘাট ও শ্রীনগরের শিমুলিয়া নৌরুটে পারাপারের জন্য কোনো যানবাহন বা যাত্রী পায়নি ফেরি কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল কুঞ্জলতা ও কলমিলতা ফেরি দুইটি ঈদ যাত্রীদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য শিমুলিয়া ঘাটে আনা হয়েছিল। এর আগে ফেরি কুঞ্জলতা আরিচা-কাজিরহাট নৌপথ ও ফেরি কলমিলতা ভোলার ইলিশা-মজু চৌধুরীর ঘাট নৌপথে চলাচল করত। পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের আগের দিন ১৯ এপ্রিল রাত থেকে ফেরি কুঞ্জলতা শিমুলিয়া ও ফেরি কলমিলতা সাত্তার মাদবর-মঙ্গল মাঝির ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে।

কুঞ্জলতা ফেরির মাস্টার সাইফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ মোটরসাইকেল নিয়ে নির্বিঘ্নে পদ্মা পাড়ি দিবেন বলে দুইটি ফেরি শিমুলিয়া ও মাঝিরঘাটে আনা হয়েছিল। দুইদিন ফেরি চালানোর পর মোটরসাইকেলসহ কোনো যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের জন্য ঘাটে আসেননি। ঈদে ছুটি ভোগ না করে অলস সময় পাড় করছি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক জামাল হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৭ দিন ধরে অলস সময় পাড় করছি। ঈদে ছুটি পাইনি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ও সাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝির ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল ফেরিতে ঈদের আগে ও পরবর্তী তিন দিন পর্যন্ত মোটরসাইকেল পারাপার করা হবে। এরপর জাজিরা-শিমুলিয়া নৌপথে দুই দিন ফেরি চলাচল করে। প্রধানমন্ত্রী ২০ এপ্রিল থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের নির্দেশ দেওয়ার পর বাইকাররা সেতু দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। দুই ঘাটের কর্মকর্তা ২৮ জন ও ১৬ জন কর্মচারী মিলিয়ে মোট ৪৪ জন অলস সময় পার করছি। নৌ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি।

এবিএস