এলেঙ্গায় ২৯ কিলোমিটার সড়কে ধীরগতিতে চলছে গাড়ি
যানজট এড়াতে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পরিবহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বর থেকে ঘুরিয়ে আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে। এতে এলেঙ্গা-ভুঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক ২৯ কিলোমিটার সড়কে পরিবহন চলাচলে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও আবার যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল থেকে আঞ্চলিক সড়কে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এলেঙ্গা-ভুঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক সড়কের পাথাইলকান্দি বাজার, মাটিকাটা বাজার, গোবিন্দাসী টি-রোড, বাগবাড়ি, ভুঞাপুর বাসস্ট্যান্ড, পালিমা, কুচুটি, ফুলতলা ও রাজাবাড়ি এলাকায় পরিবহন চলাচলে ধীরগতি রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর মধ্যে আঞ্চলিক সড়কের ভুঞাপুর উপজেলার বাগবাড়ি হতে ভুঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এবং কালিহাতী উপজেলার নগরবাড়ি কৃষি কলেজ হতে এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কের ভুঞাপুর লিঙ্ক রোড পর্যন্ত সড়কে কোথাও যানজট এবং ধীরগতিতে পরিবহন চলাচল করছে। অপরদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনগুলো এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এতে মানুষজন স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে।
আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহারকারী হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার মোবারক জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে খালি গাড়ি নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। মহাসড়কের কোথাও সমস্যা হয়নি। মহাসড়ক ফাঁকাই ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বর থেকে আঞ্চলিক সড়কে প্রবেশ করতেই পরিবহনের ধীরগতির কারণে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। একদিকে ১৩ কিলোমিটারের সড়ক ২০ কিলোমিটার ঘুরতে হচ্ছে, অন্যদিকে আঞ্চলিক সড়কে গাড়ির চাপ থাকায় ধীরগতির সৃষ্টি হচ্ছে।
সৃষ্টি পরিবহনের সুপাইভাইজার ইয়াকুব জানান, আঞ্চলিক সড়কে লোকাল পরিবহন চলাচল করায় গাড়ি টানা যায় না। ফলে কোথাও কোথাও ধীরগতির সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে যেতে তিনটি রেলক্রসিং পাড়ি দিতে হয়। এতেও কিছুটা সময় গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার কারণে সমস্যা হচ্ছে।
সড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, দুপুরের পর থেকে আঞ্চলিক সড়কে ঢাকাগামী পরিবহনের চাপ বেড়েছে। সড়কটির গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশ কাজ করছে। যানজট নেই তবে কোথাও কোথাও পরিবহন চলাচলে ধীরগতি রয়েছে।
অভিজিৎ ঘোষ/এমএএস