পাটুরিয়ায় চাপ নেই যানবাহনের, নির্বিঘ্নে পার হচ্ছে ঘরমুখী মানুষ
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রীবাহী বাস ও সাধারণ যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করলেও ঘাট এলাকায় নেই কোনো ভোগান্তি।
নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় ঘাটে যানবাহনের বাড়তি চাপ নেই। ফলে ঘাট পার হতে আসা যাত্রী ও যানবাহনগুলো নির্বিঘ্নে নৌরুট পার হয়ে গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার ব্যবস্থাপক সালাম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
ফেরিঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ও যানবাহনগুলোকে নিরাপদে নৌরুট পারাপারে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবারের ঈদে এই নৌরুটে ছেট বড় মিলে ২০টি ফেরি নৌবহর যুক্ত থাকবে। তবে আজকে নৌরুটে ১৯টি ফেরি দিয়ে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহন পার করা হচ্ছে। সকাল থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত ছোটগাড়ি ও পরিবহন বাস এবং সাধারণ যাত্রী কিছুটা বেড়েছে। ঘাট এলাকায় ৬০টির মতো পরিবহন বাস, ৪০টির মতো সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে। অন্যদিকে সাধারণ যাত্রী পারাপারের ২০টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন লঞ্চঘাটের ম্যানেজার পান্না নন্দি লাল।
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম মানিকগঞ্জের এ দুটি নৌপথ। গত বছর থেকে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের হার কমেছে। তবে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে তেমন প্রভাব পড়েনি।
এদিকে ঢাকার আশুলিয়া, সাভার, ধামরাই, গাজীপুর, চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, টঙ্গীসহ আশপাশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা এ দুটি নৌপথ দিয়ে এখানো চলাচল করেন। ঈদের সময় এ দুটি নৌপথে বাড়তি যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘাট সংশ্লিষ্টরা। বিআইডব্লিউটিসির দাবি পর্যাপ্ত ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা থাকায় ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি হবে না। এছাড়া এ দুটি নৌপথে যাত্রী পারাপারে ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করবে। এর মধ্যে পাটুরিয়ায় ২০টি আর আরিচাতে ১৩টি লঞ্চ চলাচল করবে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের ব্যবস্থাপক পান্না লাল নন্দী জানান, আজকে সকাল থেকে ঘরমুখী যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে গত বছরের তুলনায় একেবারেই কম। ঈদকে সামনে রেখে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট এ দুটি নৌরুট ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। পর্যাপ্ত লঞ্চ থাকায় যাত্রী পারাপারে তেমন কোনো ভোগান্তি হবে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট ছোট-বড় মিলে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রী ও যানবাহনের গতবারের তুলনায় খুবই কম। তবে সকালের দিকে ঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির কিছুটা চাপ ছিল, কিন্তু পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় যাত্রী ও পরিবহন বাসের চালক ও সহযোগীদের দীর্ঘ সময় ঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ থাকতে হচ্ছে না। ফলে ঘরমুখী মানুষ নির্বিঘ্নে নৌরুট পার হচ্ছে।
সোহেল হোসেন/আরকে