হাওরের বোরো ধান কাটতে মাইকিং
হাওরাঞ্চলের কৃষকদের একমাত্র ফসল বোরো ধান। গত কয়েক বছর ধরে নেত্রকোণার কৃষকদের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবর্ষণের কারণে ফসলহানি ঘটেছে।
এ বছর এখনো হাওর এলাকার কৃষকদের ধান ঘরে তোলার কর্মযজ্ঞ শুরু হয়নি। গত তিন দিন ধরে হাওরে আগাম বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় জেলার খালিয়াজুরী উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে কৃষকদের বোরো ধান কাটার পরামর্শ দিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাতে দিয়ে খালিয়াজুরী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকে প্রচারণা চালিয়ে ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এতে বলা হচ্ছে, আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে টানা ১১ দিন ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ওই সময়ে দেশে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিসহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
মাইকিংয়ে জানানো হচ্ছে, ওই বৃষ্টির পানিতে খালিয়াজুরী উপজেলাসহ হওরাঞ্চলে আগাম বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তাই হাওরের বোরো ধান শতকরা ৮০ ভাগ পাকলেই যেন দ্রুত কেটে ফেলা হয়।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে এসব এসব তথ্য নিশ্চিত করেন খালিয়াজুরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, খালিয়াজুরী উপজেলার হাওরগুলোতে ১৮ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে এবার বোরো আবাদ হয়েছে। এ আবাদের শতকরা ৫৫ ভাগ জমির ধান এরই মধ্যে কাটাও হয়েছে। বাকি ৩০ ভাগ জমির ধান জমিতেই রয়েছে পাকা অবস্থায়। আর ১৫ ভাগ জমির ধান রয়েছে কাঁচা। আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে কোনো জটিলতা কিংবা অবহেলার কারণে জমির ধান কাটা না হলে আগাম বন্যায় এখানে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ অবস্থায় ধান কাটা নিশ্চিত করার মাধ্যমে কৃষকদের ফসলের ক্ষতি কমিয়ে আনতে স্থানীয় কৃষি বিভাগ তৎপর রয়েছে বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তা।
জিয়াউর রহমান/ওএফ