ঈদে দেশীয় থ্রি-পিসে আগ্রহ নারীদের
ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। তীব্র দাবদাহ চলছে যশোরজুড়ে। এরই মধ্যে জমে উঠেছে যশোরের ঈদ বাজার। ঈদ সামনে রেখে বাজারে তুলনামূলক নারী ক্রেতাদের ভিড় বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এ বছর ঈদে নারীদের নজর কেড়েছে হাতে কাজ করা দেশীয় থ্রি-পিস। এ সকল পোশাকের খোঁজে বড় বড় দোকানগুলোতে দেখা গেছে নারীদের উপচে পড়া ভিড়।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বড় বাজারের কাপড়ের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, বাজারে পুরুষদের তুলনায় নারীদের সমাগম বেশি। দিনের বেলায় তাপমাত্রা বেশি হওয়া সত্ত্বেও দোকানগুলোতে রয়েছে ক্রেতাদেরে উপচে পড়া ভিড়। এ বছর ঈদে অন্যান্য পোশাকের তুলনায় নারীদের বেশি নজর কেড়েছে থ্রি-পিস।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় কাপড় ব্যবসায়ীরা বলছেন, নারীদের পোশাকের মোট চাহিদার ৭০ শতাংশই হাতের কাজের দেশীয় থ্রি-পিসে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, নান্দনিক ডিজাইনের থ্রি-পিস সুলভ মূল্যে পাওয়ায় প্রায় সব বয়সী নারীই কিনছেন এ ধরনের থ্রি-পিস। এ সকল থ্রি-পিস নকশা (কাজ) ও কাপড়ের মানভেদে ৭০০ থেকে দুই হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
ইরানী আক্তার নামের এক ক্রেতা বলেন, চলতি বছর যশোরের ব্যবসায়ীরা ভালো ভালো ডিজাইনের এবং উন্নতমানের হাতের কাজের দেশীয় থ্রি-পিসের কালেকশন নিয়ে এসেছে। আমাদের কাছেও অনেক ভালো মনে হচ্ছে।
নাজমা বেগম নামের আরেক নারী বলেন, হাতের কাজের থ্রি-পিস এক কথায় অসাধারণ। এ বছর প্রস্তুতকারকরা নানা ডিজাইনের কাজ করায় আরও বেশি অসাধারণ লাগছে।
রিশা খাতুন নামের এক কলেজছাত্রী বলেন, এবারের থ্রি-পিসের কালেকশনগুলো অসাধারণ। বিশেষ করে ঢাকাকেন্দ্রিক কারিগরদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা এ সকল থ্রি-পিসের গুণগতমানও ভালো। দামেও মোটামুটি খুশি আমরা।
বড় বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী শাহীন হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রতি বছর কোনো না কোনো পোশাকের প্রতি নারীদের আকর্ষণ বেশি থাকে। তেমনি এ বছর হাতের কাজের দেশীয় থ্রি-পিসের প্রতি নারীদের আকর্ষণ বেশি। গুণগতমান ভালো এবং মূল্য তুলনামূলক কম হওয়ায় নারীদের নজর কেড়েছে এ সকল পোশাক। প্রায় সকল বয়সী নারীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে হাতের কাজের এসব দেশীয় থ্রি-পিস।
আকরাম হোসেন নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ঢাকার বড় বড় কারিগরদের কাছ থেকে এ ধরনের হাতের কাজের দেশীয় থ্রি-পিস সংগ্রহ করেছি। এবার চাহিদা বেশি হওয়ায় পরিমাণেও বেশি থ্রি-পিস উঠিয়েছি। ক্রেতারা তাদের পছন্দসই পণ্যটি সুলভ মূল্যে ক্রয় করতে পারছেন।
এ্যান্টনি দাস অপু/এবিএস