সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে অটিজম প্রতিরোধ করতে হবে : সুজন
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, অটিজম যেহেতু অনিরাময় যোগ্য রোগ, তাই এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিরোধ করতে হবে। অটিস্টিক শিশুরা যেন এখান থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে এ ব্যবস্থা করার তাগিদ দেন তিনি।
রোববার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়ায় অবস্থিত কুষ্টিয়া শহর সমাজসেবা সমন্বয় পরিষদের অধীনে গড়ে ওঠা অটিজম শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এনডিডি প্রটেকশন অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার' পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, অটিজম এখন বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আছে। তবে এসব বিষয় নিয়ে অনেক কাজও করছে সরকার। বাচ্চা অটিজমে আক্রান্ত হলে বুঝতে পারলে তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিশেষ অটিজম স্কুলে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এ বিষয়ে অনেক কাজ হচ্ছে। মানুষও সচেতন হচ্ছে, কিন্তু মন্থরভাবে। আপনারা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ছোট পরিসরে শুরু করেছেন। আগামীতে আরও বড় পরিসরে যাবে। আমাদের সবারই দায়িত্ব তাদের সুস্থ করতে এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে। এছাড়াও সরকারি বেসরকারি কিংবা বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় তিনি শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শিশুদের জন্য চকলেট মিষ্টি উপহার তুলে দেন।
এনডিডি প্রটেকশন অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আফসানা বেগম জানান, অটিজম শিশুদের জন্য পরিচালিত এ স্কুলটিতে প্রতিটি বাচ্চার সব সময় বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়। আমরা চাই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এসব শিশুদের পাশে এগিয়ে আসুক। ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিক। তিনি বলেন, আমাদের এ প্রতিষ্ঠানে শহরের বিভিন্ন এলাকার ৩৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়াও মোট ১০ জন শিক্ষক কর্মচারী আছে।
তিনি আরও বলেন, একজন অটিজমে আক্রান্ত শিশুর মা এবং একজন স্পেশাল এডুকেটর হিসেবে আমি বলব অনেক পরিবর্তন এসেছে। এতকিছুর পরেও আমি মনে করি অটিজম শিশুদের জন্য আরও শিক্ষাবিস্তার এবং তাদের পরিচর্যার জন্য বেশি বেশি কাজ করতে হবে।
রাজু আহমেদ/এমএএস