৪ আরোহী নিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় মোটরসাইকেল, প্রাণ গেল যুবকের
নোয়াখালীর চাটখিলে ৪ আরোহী নিয়ে মোটরসাইকেল চালানোর ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোহাম্মদ মুনির হোসেন শরাফাত (২৪) নামের এক যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। এছাড়া পথচারীসহ ৬ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাতে চাটখিল পৌর শহরের মারকাজ মসজিদ সংলগ্ন রামগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ মুনির হোসেন শরাফত চাটখিল উপজেলার ৫নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মোল্লা বাড়ির হারুন রশীদ মোল্লার ছোট ছেলে।
বিজ্ঞাপন
আহতরা হলেন, চাটখিল উপজেলার সাহেব আলীর ছেলে মো. রুবেল (২৪), একই উপজেলার বদলকোট গ্রামের মো. সুমনের ছেলে সমর চৌধুরী (১৮), মোহাম্মদপুর গ্রামের মো. মনির হোসেনের ছেলে তানভীর (১৭), মোহাম্মদপুর গ্রামের আবুল বাহারের ছেলে সাকিবুল হাসান (১৭), কুমিল্লার মুদাফফরগঞ্জের মোহাম্মদ আলী হোসেনের ছেলে মো. ইমাম (২০) ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার পান চাইলের মোহাম্মদ সোহেলের ছেলে শাওন (১৪)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হালিমা দীঘির পাড় থেকে চাটখিল অভিমুখে মহাসড়ক দিয়ে দ্রুত গতিতে ছেড়ে আসা ৪ জন আরোহীসহ একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলে শরাফত নিহত হন। গুরুতর আহত হন ৩ মোটরসাইকেল আরোহী ও ৩ পথচারীসহ ৬ জন। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সবাইকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শরাফতকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি আহত তিনজনকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (আবাসিক) ডা. শহিদুল আহমদ নয়ন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শরাফত ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়াও ৩ জনের পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের জেলা শহরের সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। বাকি ৩ জনকে আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চাটখিল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। পরে তদন্ত করে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসিব আল আমিন/আরকে