ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে ফরিদপুর ও ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার ৩৭ দিন পর মো. বিশা প্রামাণিক (৫৪) নামে এক কৃষক মারা গেছেন।  

বৃহস্পতিবার(১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের টিলারচর গ্রামে  নিজ বসতবাড়িতে তার মৃত্যু হয়। মৃত বিশা প্রামাণিক টিলার চর গ্রামের ডেঙ্গুর প্রামাণিকের ছেলে। তিনি বিবাহিত এবং এক মেয়ের বাবা।
 
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মার্চ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের চর শালেপুর গ্রামের ক্ষেতে সরিষা কাটতে যান বিশা ও আরেক কৃষক টিলারচর গ্রামের শেখ সৈজদ্দিনের ছেলে আক্কাস শেখ। সরিষা কেটে আঁটি করে রাখেন তারা। দুপুর ১২টার দিকে বিশা সরিষার আঁটি মাথায় তুলতে গেলে তার বাম পায়ের একটি আঙুলে কামড় দেয় সাপ। দুপুর দেড়টার দিকে তাকে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালে সাপে কামড় দেওয়ার ওষুধ না থাকায় তাকে পুনরায় বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। বাড়িতে কিছু দিন কবিরাজি চিকিৎসা করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিশার স্ত্রী রেহানা খাতুন বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মেডিকেল থেকে বিশাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। বাড়িতে আনার পরপরই বিকেল ৩টার দিকে মারা যান তিনি।

চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাপে কামড় দিলেও তার যথাযথ কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। টাকার অভাবে যথাযথ চিকিৎসা কম হয়েছে। আবার কখনো কবিরাজি  চিকিৎসা করানো হয়েছে।

চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বিশাকে প্রথম দিন যখন এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয় তখন সাপের দংশনের যে সিনট্রম ছিল তা দেখে মনে হয়েছে ওই কামড় রাসেল ভাইপারের।

জহির হোসেন/আরএআর