এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয়ে মেডিকেল ক্যাম্প, নারীসহ তিনজনের কারাদণ্ড
কিশোরগঞ্জে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয়ে মেডিকেল ক্যাম্পের নামে প্রতারণার অভিযোগে এক ভুয়া নারী চিকিৎসকসহ তিনজনকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২০ মার্চ) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের অষ্টবর্গ গ্রামে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে লোকজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় তাদের আটক করে এ দণ্ড দেয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাগুফতা হকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নাইম সরকারের স্ত্রী মারিয়া ফেরদৌসি (২৭), একই উপজেলার এলাকার জগৎপুর গ্রামের আবদুল কাদিরের ছেলে মো. রমজান (২১) ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার হাবিবুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান (১৮)।
বিজ্ঞাপন
ভ্রাম্যমাণ আদালত আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৫ দিন ধরে হলিষ্টিক হেলথ কেয়ার লি. নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে সদর উপজেলার রশিদাবাদ, লতিবাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় দুই সহযোগীসহ মারিয়া ফেরদৌসি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা নিচ্ছিল।
মেডিকেল ক্যাম্প চালানোর সময় মারিয়া ফেরদৌসি নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিত। শনিবার সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের অষ্টবর্গ গ্রামে এক নারী ইউপি সদস্যের বাড়িতে বসে ‘মেডিকেল চেকআপের’ নামে ৩শ টাকা করে আদায় করছিল।
এমন খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাগুফতা হকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করে। পরে তাদের প্রত্যেককে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল আইন ২০১০ এর ২৯ ধারায় ডাক্তার পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট সাগুফতা হক।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ওই নারী নিজেকে ইউনানি চিকিৎসক দাবি করলেও অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিচ্ছিল। ল্যাপটপ ও একটি ছোট যন্ত্রের মাধ্যমে ফুলবডি চেকআপ করে টাকা নিচ্ছিল। ওই নারীর ইউনানি সার্টিফিকেট পরীক্ষার জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসকে রাসেল/এসপি