শেখ রেফাত মাহমুদ সাদ

চাকরিতে যোগ দিতে গিয়েও যোগ দেওয়া হলো না শেখ রেফাত মাহমুদ সাদের। অজ্ঞাত কারণে লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন এই যুবক। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাত দেড়টায় ঢাকাগামী এমভি শুভরাজ-৯ লঞ্চে এই ঘটনা ঘটে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) মেহেন্দীগঞ্জের মেঘনা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ সকাল ১০টায় বরিশাল সদর রোডে সাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর মুসলিম কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শেখ রেফাত মাহমুদ সাদ বরিশাল নগরীর ১৯নং ওয়ার্ডের কালিবাড়ি রোড এলাকার বাসিন্দা ঠিকাদার শেখ আসলাম মাহমুদের ছেলে।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, এই যুবক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তার বাবা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। ডায়েরিটি তদন্তাধীন। কোন এলাকা থেকে এবং কী কারণে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তা শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।

নিহতের বাবা আসলাম মাহমুদ বলেন, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর ঢাকার বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য যাচ্ছিল সাদ। সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। লঞ্চে ওঠার পর রাতে লঞ্চেও কথা হয় ওর সঙ্গে। এরপর রাত সাড়ে ১১টার পর আর মোবাইলে পাচ্ছিলাম না। শনিবার ওর কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হলো না।

তিনি আরও বলেন, কী কারণে এই কাজ করল তা জানি না। কিন্তু আমাদেরকে নিঃস্ব করে দিয়ে চলে গেল।

লঞ্চের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, শুক্রবার রাত ১টা ১৬ মিনিটে লঞ্চের দ্বিতীয় তলার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে সাদ। রাত ১টা ৩৩ মিনিটে রেলিংয়ের উপর উঠে ঝাঁপ দিতে গিয়ে থেমে যায়। এক পা রেলিংয়ের বাইরে দিয়ে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকে। মিনিটখানেক সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর নদীতে ঝাঁপ দেন।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ