প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা করে বাসের ছাদে লাশ নিয়ে যান খালেক
বরিশালে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রবাসীর স্ত্রী সাবিনাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন পিবিআইয়ের বরিশাল পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবির।
বিজ্ঞাপন
নগরীর রূপাতলী পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ূন কবির বলেন, এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত। ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেন আব্দুল খালেক। মূলত সাবিনার স্বামী গৌরনদী উপজেলার দিয়াসুর গ্রামের বাসিন্দা কুয়েতপ্রবাসী শহিদুল ইসলামকে বিদেশ যাওয়ার জন্য চার লাখ টাকা দিয়েছিলেন একই উপজেলার ডিমলা গ্রামের আব্দুল খালেক।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বিদেশে নিতে না পারায় টাকা ফেরত চান খালেক। টাকা ফেরত দিতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বসবাসকারী সাবিনা বেগম তার দুই সন্তান নিয়ে ২০ নভেম্বর গৌরনদী উপজেলার দিয়াসুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। শ্বশুরবাড়িতে দুই সন্তান রেখে খালেকের ডাকে বরিশালের কাশিপুরে যান সাবিনা।
কাশিপুরের ভূঁইয়া বাড়ি এলাকার নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে ডেকে পরিকল্পতিভাবে ঠান্ডা মাথায় সাবিনার মাথায় আঘাত করেন খালেক। এতে তার মৃত্যু হয়। পরে রশি দিয়ে বেঁধে সাবিনার মরদেহ ড্রামে ভরেন। ড্রামে কাচের জিনিস আছে বলে বাসের ছাদে তোলেন। ২৩০ টাকা ভাড়ায় লাশভর্তি ড্রাম ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যান খালেক। সেখানে ড্রাম নামিয়ে ভ্যান খুঁজতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি তিনি। অবশেষে বাসের স্টাফরা ড্রাম খুলে সাবিনার মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেন। ওই দিনই সাবিনার পরিচয় শনাক্ত হয়।
২২ নভেম্বর আব্দুল খালেকের স্ত্রী রহিমা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মেট্রোপলিটন বন্দর থানা এলাকার হিজলতলা গ্রামে আত্মগোপনে ছিলেন আব্দুল খালেক। হত্যাকাণ্ডের এক মাস পাঁচদিন পর খালেককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পিবিআই।
এএম