খানসামার ইউএনওকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় ভি.ডাব্লিউ.ডি (ভিজিডি)-তে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, জনপ্রতিনিধি অবমূল্যায়ন ও দুর্নীতির কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশিদা আক্তারকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খানসামা উপজেলা ইউপি ঐক্য ফোরাম ও এলাকাবাসীর আয়োজনে উপজেলার খানসামা-দাড়োয়ানী আঞ্চলিক মহাসড়কে জেলা পরিষদ ডাক বাংলোর সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
উপজেলা ইউপি সদস্য ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এনামুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ৬ ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভিডাব্লিউবি (ভিজিডি) কর্মসূচির আওতায় যে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে সেটি নিয়ম মেনে হয়নি। ইউএনও অটোমেশনের কথা বলে স্বেচ্ছাচারিতা করে তালিকা তৈরি করেন। এটি সম্পূর্ণ আইনবহির্ভূত।
বিজ্ঞাপন
অন্য উপজেলায় যে নিয়মে হয়েছে আমাদের এখানে সেই নিয়মে হয়নি। এমনকি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও চুরি-ছিনতাইরোধে স্থানীয় সাংসদ এর পরিকল্পনায় আনসার ভিডিপি সদস্যদের রাত্রীকালীন পাহারাদার হিসেবে রাখা হয়। কিন্তু চলতি মৌসুমের ভিজিডি তালিকায় রাত্রীকালীন পাহারাদার, কমিউনিটি ক্লিনিকের আয়া ও বিভিন্ন দপ্তরের বিনা বেতনের কর্মচারীর নাম নেই। ভিজিডি তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, জনপ্রতিনিধিদের অবমূল্যায়ন ও দুর্নীতির কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশিদা আক্তারের দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণের দাবি জানান। যদি আগামী ৭ দিনের মধ্যে এর সুরাহা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিদা আক্তারের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, ইউনিয়ন পরিষদের মতামত ও ভিডাব্লিউবি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের স্বাক্ষর ছাড়াই ইউএনও, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও ইউপি সচিব খানসামা উপজেলায় চূড়ান্ত হওয়া ভিডাব্লিউবি কর্মসূচির ২৬৫৯ জনের তালিকা সংশোধন করার দাবিতে গত ১০ জানুয়ারি দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করেছিল ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য-সদস্যারা। পরে খানসামা থানা পুলিশের ওসি চিত্তরঞ্জন রায়ের হস্তক্ষেপে দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হওয়ায় অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে এই উদ্ভুত পরিস্থিতির সুরাহা না হওয়ায় পর্যন্ত মাসিক সভাসহ উপজেলা প্রশাসনের সকল কাজ বর্জন করেন ৬ ইউপি চেয়ারম্যানগণ।
ইমরান আলী সোহাগ/এমএএস