ভোলা গ্যাসক্ষেত্র

দ্বীপ জেলা ভোলায় পাওয়া প্রাকৃতিক বাড়তি গ্যাস ঢাকার বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে গ্যাস বিপণনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেডকে। আগামী ১০ বছরের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এক সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

সাঈদ মাহবুব খান এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠকে তিনটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাপেক্স কর্তৃক ভোলা এলাকার ‘সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড’-এর (এসজিসিএল) উৎপাদিত গ্যাস স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের পর প্রাথমিকভাবে পাঁচ এমএমসিএফডি ও পরবর্তীতে ২০ এমএমসিএফডি গ্যাস কম্প্রেসড করে সিলিন্ডারে পরিবহন-পূর্বক ঢাকার শিল্পপ্রতিষ্ঠানে সরবরাহের লক্ষ্যে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ‘ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড’-এর সঙ্গে ১০ বছর মেয়াদে চুক্তি সম্পাদনের একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম কত হবে আর ইন্ট্রাকোই-বা কত সেবা মূল্য নেবে, বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হয়নি এবং কবে থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে সে বিষয়েও কিছু জানাননি সাঈদ মাহবুব খান।

তবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভোলা থেকে গ্যাস কম্প্রেসড অবস্থায় সিলিন্ডারে পরিবহন করে ঢাকার আশপাশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করবে ইন্ট্রাকো। প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য গ্রাহক পর্যায়ে পড়বে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

এর আগে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজসম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের জুন নাগাদ ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে শিল্প গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবে।

এছাড়া একই প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ৩০৭টি ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন এবং ইন্টারনেট অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, আপগ্রেডেশন, প্রতিস্থাপন, পরিচালনা এবং রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘ফাইবার এট হোম’-এর সঙ্গে পিপিপি চুক্তির খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এমজেইউ