জামালগঞ্জে মামুনুল হককে প্রতিহত করবেন আ.লীগ নেতারা
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন, আমরা সবাই মিলেমিশে সুনামগঞ্জকে শান্তির জেলা হিসেবে গড়ে তুলব। হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করব। ২১ মার্চ কোনোভাবেই জামালগঞ্জ উপজেলায় মামুনুল হককে সমাবেশ করতে দেবে না আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলা আওয়ামী লীগ তাকে প্রতিহত করবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ, জেলা যুব ঐক্য পরিষদ, জেলা হিন্দু যুব ঐক্য পরিষদ, জেলা কৃষ্ণ অনুরাগী জাগ্রত যুবসংঘ ও জেলা তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে হামলার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৪টায় শহরের আলফাত স্কয়ারে নিজস্ব ব্যানারে অংশ নেয় সাতটি সংগঠনের সদস্যরা।
চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট বলেন, বঙ্গবন্ধুকে অপমান করার জন্য জন্মশতবার্ষিকীতে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করেছে তারা। হামলায় যারা জড়িত তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে চাই। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
সমাবেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু আজ কতিপয় সাম্প্রদায়িক ব্যক্তির উসকানিতে শাল্লায় হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি দিতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামীম বলেন, এই মামুনুল হক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন সাম্প্রদায়িক উসকানি দিচ্ছেন। তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। ২১ মার্চ কোনোভাবেই জামালগঞ্জে মামুনুল হককে সমাবেশ করতে দেব না।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ও মুসলমান মিলেমিশে দেশ স্বাধীন করেছি। সুনামগঞ্জ সম্প্রীতি ও শান্তির শহর। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি শাল্লায় হামলা চালিয়েছে। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি দীপক ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি স্বপন কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক বিমল বণিক, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গপদ দাস, সাধারণ সম্পাদক চন্দন প্রসাদ রায়, জেলা গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি রুহুল তুহিন, তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির সভাপতি দিলারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক কলি তালুকদার, সাংবাদিক কুলেন্দু শেখর দাস ও পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চঞ্চল কুমার লৌহ।
প্রসঙ্গত, জামলাগঞ্জ উপেজলায় খাদিমুল কুরআন মহিলা মাদরাসার উদ্যোগে আগামী রোববার (২১ মার্চ) ‘খতমে বুখারি ও ইসলামি মহাসম্মেলনে’ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক আসার কথা রয়েছে।
সাইদুর রহমান আসাদ/এএম