দেড় বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই ট্রাকে সাড়ে ৪২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় প্রায় দেড় বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই ট্রাকে সাড়ে ৪২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বন্দরে কর্মরত শ্রমিক ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) রাত ৮টায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজবোঝাই দুটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। বাংলাদেশি আমদানিকারক যশোরের দিন ইসলাম ট্রেডার্স, কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করে পণ্য ছাড়াতে আমদানিকারককে সহযোগিতা করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সেজুতি এন্টারপ্রাইজ। তবে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বন্দর দিয়ে আর কোনো পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উৎপাদন সংকট দেখিয়ে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছিল ভারত সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়।

আমদানিকারক দীন ইসলাম বলেন,  প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়েছে ১৪০ মার্কিন ডলার। পণ্য ছাড় করাতে সরকারকে আমদানি মূল্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক কর পরিশোধ করতে হয়েছে। 

পেঁয়াজ আমদানিতে শ্রমিক ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, দেড় বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে আসায় দ্রুত সময়ের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমবে।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরুর ফলে আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, শ্রমিকদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। পেঁয়াজ কাঁচামাল হওয়ায় বন্দরে প্রবেশের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে খালাস করে আমদানিকারকদের সরবরাহ করা হচ্ছে।

জাহিদ হাসান/এএম