হাসপাতালের টয়লেটে নবজাতক রেখে পালাল কিশোরী
নীলফামারীর জলঢাকায় প্রসবের পর নবজাতককে হাসপাতালের টয়লেটে রেখে পালিয়েছে এক কিশোরী। শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে নবজাতকটিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
জলঢাকার উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের কোটিপাড়া এলাকার ওই কিশোরী পেটে ব্যথা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আসেন।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুপুরে প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন ওই কিশোরী। তবে জরুরি বিভাগে কিছু না বলে টয়লেটে চলে যায় সে। টয়লেটেই একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয় ওই কিশোরী। অবিবাহিত হওয়ায় পরিবারের লোকজনের কাছে তার নবজাতকের পিতার পরিচয় কি দেবেন এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে না পেয়ে সন্তান প্রসবের পরপরই সটকে পড়ে সে। একটু পরে সেখানে বাচ্চার কান্নার শব্দ হলে লোকজনের জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে। পরে হাসপাতালে সিনিয়র নার্স ও দায়িত্বরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মেজবাহুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুপুরে এক কিশোরী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। ভর্তি না হয়ে জরুরি বিভাগের টয়লেটে চলে যায়। সেখানে প্রসবের পর বাচ্চা রেখে পালিয়ে যায়। পরে সেখানে থাকা লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাচ্চাটিকে আমরা উদ্ধার করি।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসান ডা. আবু রেজওয়ানুল কবীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, উদ্ধার হওয়া বাচ্চাটি বর্তমানে সুস্থ আছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করলে বাচ্চার মায়ের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।
শরিফুল ইসলাম/ওএফ