মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক ও তার স্ত্রী নীলা রহমান

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন ও অবৈধ নিয়োগের অভিযোগে পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র ও তার স্ত্রীসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বারিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সকাল ১০টায় ও বেলা ১১টায় পৃথক দুটি মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক আলী আকবর। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে আলী আকবর জানান, তদন্তে প্রমাণ পাওয়ায় মামলা দুটি করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে এখনও কেউ দায়িত্ব পাননি। 

তিনি আরও বলেন, একটি মামলায় মেয়র ও তার স্ত্রী এবং আরেকটি মামলায় মেয়র, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিবসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

দুদকের বারিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের আরেক উপ-পরিচালক আল আমিন জানান, দুদক পিরোজপুর জেলা অফিসের ৩ নম্বর মামলায় পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক ও তার স্ত্রী নীলা রহমানকে আসামি করা হয়েছে। 

ওই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, দুদকের তদন্তে এই দম্পতির সম্পদের হিসেবে গরমিল পাওয়া গেছে। তারা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৩৬ কোটি ৩৪ লাখ ৭ হাজার ৯৩২ টাকার কোনো হিসেব দিতে পারেননি। 

আর ৪ নম্বর মামলায় ২৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পিরোজপুর পৌরসভায় ২৩ জন কর্মচারী অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছে। দুদকের তদন্তে এর প্রমাণ মিলেছে। দুটি মামলায় মোট ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়ালের মেজো ভাই। ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর সম্পদের বিবরণী চেয়ে পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, তার স্ত্রী নীলা রহমান, মেয়ে নওরীন আক্তার ও ছেলে ফয়সাল রহমানের নাম উল্লেখ করে নোটিশ দেয় দুদক।  একই সঙ্গে পৌরসভার ২৫ জন কর্মচারী নিয়োগে প্রতিজনের  কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করে ঘুষ গ্রহণ, বাস ও মিনিবাস থেকে অবৈধ চাঁদা আদায়, এলাকায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঠিকাদারি করার অভিযোগ করে ওই নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের যথাযথ উত্তর না পাওয়ায় পরে দুদক থেকে উপ-পরিচালক আলী আকবর তদন্তের দায়িত্ব পান। তদন্তে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় পৃথক দুটি মামলা করেন তিনি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর