ভোলায় ইলিশা-১ নামের আরেকটি নতুন গ্যাস কূপ খনন কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। 

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মালেরহাট সংলগ্ন এলাকায় ওই কূপে খনন কাজ শুরু হয়। কূপটির খনন কার্যক্রম চলতি বছরের জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছে বাপেক্স।

গত ২৩ জানুয়ারি ভোলা নর্থ-২ নামে অষ্টম কূপ খনন কাজ শেষ করা হয়েছে। আর ইলিশা-১ নামে কূপটি ভোলা জেলার নবম গ্যাস কূপ।

ইতোপূর্বে এ জেলায় আরও ছয়টি কূপ খনন করা হয়েছে। দুই বছর আগে বাপেক্সের একটি অনুসন্ধান দল ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ করে গ্যাসের জন্য সম্ভাবনাময় বিবেচিত ভোলার তিনটি স্থানে গ্যাসের সন্ধান পায়। পরে সেগুলোর নাম দেওয়া হয় ইলিশা ১, ভোলা নর্থ ২ ও টবগী ১ গ্যাস কূপ। এগুলো নিয়ে দ্বীপ জেলা ভোলায় মোট গ্যাস কূপের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯টি।

বাপেক্সের প্রকল্প পরিচালক মো. আহসানুল আমিন জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে ইলিশা-১ এ গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার নতুন কূপ খনন কাজ শুরু হয়।

আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে ভালো খবর দিতে পারবো বলে আশা করছি। ইলিশা-১ কূপটি ৩ হাজার ৪০০ মিটার খননের টার্গেট রয়েছে। তবে আগে গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া যেতে পারে বলেও তিনি জানান। এছাড়াও তিনটি স্তরে ডিএসটি (ড্রিল স্টেম স্টেট) এর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বর্তমান সরকার দেশীয় জ্বালানির উৎস অনুসন্ধানে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে ২০২২-২৪ সময়কালের মধ্যে পেট্রোবাংলা মোট ৪৬টি অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে টবগী-১, ভোলা নর্থ-২ এবং ইলিশা-১ তিনটি কূপ খনন কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার পদক্ষেপ গৃহিত হয়।

এরই অংশ হিসেবে গত বছরের ২৯ অক্টোবর টবগী-১ অনুসন্ধান কূপ খনন পরবর্তী তিনটি স্তরে গ্যাস আবিষ্কার হয় এবং দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়।

তৎপরবর্তী গত ২৩ জানুয়ারি ভোলা নর্থ-২ মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন পরবর্তী কূপে গ্যাস আবিষ্কার হয় এবং দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পরীক্ষিত হয়।

এদিকে ভোলাবাসী প্রত্যাশা করছে, নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারের ফলে একদিকে যেমন জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে, অন্যদিকে বিপুল সংখ্যক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে। গৃহস্থালির কাজেও গ্যাস সংযোগের দাবিও জানান ভোলাবাসী।

এমএএস