বয়স্ক ভাতা দেওয়ার কথা বলে জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ
বয়স্ক ভাতা দেওয়ার কথা বলে রশনা বেগম নামের এক সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধার ১৪.২৯ শতাংশ জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পটুয়াখালীর বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই বৃদ্ধা।
রশনা বেগম জেলার বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামের মৃত মোসলেম ফকিরের স্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
রশনা বেগম বলেন, আমার মামাতো ভাই ফজলে আলী হাওলাদারের ছেলে শহিদ, মোসলেম ও আরেক মামাতো ভাই সিদ্দিক হাওলাদারের ছেলে মো. মামুন হোসেন আমাকে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার কথা বলে কয়েক দিন আগে বাউফলের একটি অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে একটি কাগজে টিপসই দিতে বলে। আমি না বুঝে টিপসই দিই। পরে তারা আমাকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে এ কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে।
রশনা বেগমের ছেলে মো. হুমায়ন কবির (৪৫) বলেন, আমার মা অত্যন্ত সহজ-সরল মানুষ। তাকে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে বাউফল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে শহিদুল ইসলাম, মোসলেম ও মামুন প্রত্যেকে ৪.৭৬ শতাংশ করে মোট ১৪.২৯ শতাংশ জমি দলিল করে নেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা। বিষয়টি আমাদের না জানাতে আমার মাকে (রওশা বেগম) ভয়ভীতি দেখানো হয়। প্রায় আড়াই মাস ধরে বিষয়টি গোপন থাকে। কয়েক দিন আগে লোকমুখে বিষয়টি জানতে পারি। এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা স্থানীয়ভাবে বসে এটার একটা সমাধান করতে চান। গত রোববার (৫ মার্চ) স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তারা ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেবেন বলে স্বীকার করেন। কিন্তু দুই দিন পার হলেও তারা টাকা দেননি। এখন টাকা চাইলে তারা বলেন, কোনো টাকা দেওয়া হবে না। তারা জমি কিনে নিয়েছেন।
বয়স্ক ভাতা দেওয়ার কথা বলে জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম, মোসলেম ও মামুন হোসেন বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। রশনা বেগম জেনেশুনে আমাদের জমি লিখে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কেশবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকু বলেন, উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে মীমাংসা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাউফল সাব-রেজিস্ট্রার হাফিজা হাকিম রুমা বলেন, দলিল রেজিস্ট্রি করার আগে আমি জমিদাতা নারীর কাছে একাধিকবার জানতে চেয়েছি তিনি স্বেচ্ছায় জমি দিচ্ছেন কি না। সব জেনেশুনেই জমি রেজিস্ট্রি হয়। তারপরও যদি প্রতারণার ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে দলিল বাতিলের জন্য ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করতে পারেন।
এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমজেইউ